সোমবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

স্টিভ জবসের কিছু কথা

 স্টিভ জবস মারা যায় ৫৬ বছর বয়সে। তিনি এই অল্প সময়েই রেখে গেছেন সমগ্র জাঁতির জন্য বিশাল অবদান এবং কর্ম প্রেরণা। তাই আজকে এই পোষ্টে তার কিছু  অনুপ্রেরণা মূলক কথা দেখবঃ

Follow your heart

প্রথমে আপনি আপনার মনকে বুঝতে চেষ্টা করুন, দেখতে চেষ্টা করুন আপনার মন কি চাইছে, আপনাকে মূলত কি করতে বলছে, কোন পথে চলতে বলছে। আপনি আপনার মনকে গুরত্তদিন, গুরত্তদিন তার দেখানো পথে চলে। তবেই আপনি একদিন হয়ে উঠেতে পারবেন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাসম্পন্ন।
ALMOST EVERYTHING–ALL EXTERNAL EXPECTATIONS, ALL PRIDE, ALL FEAR OF EMBARRASSMENT OR FAILURE–THESE THINGS JUST FALL AWAY IN THE FACE OF DEATH, LEAVING ONLY WHAT IS TRULY IMPORTANT. REMEMBERING THAT YOU ARE GOING TO DIE IS THE BEST WAY I KNOW TO AVOID THE TRAP OF THINKING YOU HAVE SOMETHING TO LOSE. YOU ARE ALREADY NAKED. THERE IS NO REASON NOT TO FOLLOW YOUR HEART.

Trust yourself

বিশ্বাস রাখুন নিজের প্রতি। নিজের সিধান্তের প্রতি। আপনি যদি বিশ্বাস করে থাকেন যে আপনি আপনার কাজের ক্ষেত্র তৈরি করে নেবেন ব্লগের দ্বারা তবে বিশ্বাস রাখুন নিজের প্রতি। কখনো দমে যাবেন নাহ। প্রয়োজনে ঝুঁকি নিন, তবু কখনো পিছু হাঁটবেন না। দেখবেন একদিন আপনার বিশ্বাসই আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান দেবে।
YOU CAN’T CONNECT THE DOTS LOOKING FORWARD; YOU CAN ONLY CONNECT THEM LOOKING BACKWARDS. SO YOU HAVE TO TRUST THAT THE DOTS WILL SOMEHOW CONNECT IN YOUR FUTURE. YOU HAVE TO TRUST IN SOMETHING — YOUR GUT, DESTINY, LIFE, KARMA, WHATEVER. THIS APPROACH HAS NEVER LET ME DOWN, AND IT HAS MADE ALL THE DIFFERENCE IN MY LIFE.
steve-jobs

Love what you do

ভালোবাসুন আপনার লক্ষ্যকে, আপনার ব্লগিং কে। আপনার ব্লগিং এর মাঝে ঢেলে দিন আপনার ভেতরের থাকা সকল আবেগ, কারণ আপনার আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা , সম্মানই আপনাকে ব্যাপক ভাবে উৎসাহিত করবে আপনার সামনে এগিয়ে চলার প্রতি।
YOUR WORK IS GOING TO FILL A LARGE PART OF YOUR LIFE, AND THE ONLY WAY TO BE TRULY SATISFIED IS TO DO WHAT YOU BELIEVE IS GREAT WORK. AND THE ONLY WAY TO DO GREAT WORK IS TO LOVE WHAT YOU DO.

Go for a home run

কখনো আপনার লেখার মান নিয়ে কার্পণ্যতা করবেন না। এতে দেখা যায় আপনি আলসেমি বা কোন বেস্ততার কারণে আপনার লেখার মাঝে কার্পণ্যতা করে তা শুধু মাত্র পাবলিশ করার জন্য লিখেছেন! তবে চিন্তা করে দেখুন আপনার এই কাজটির জন্য আপনার সদ্য পাবলিশ হওয়া নিন্মমানের লেখা অনেকেরই পড়তে হচ্ছে, যার ফলে দেখা যাচ্ছে আগামীতে তারা ভালো পোস্টেকেও আগের পোষ্টের মতো খারাপ ভেবে ওপেন করে দেখছে না! তাই কিছু লিখতে হলে অবশ্যই সময় নিয়ে ভালোভাবে লিখুন। হোক না তা মাসে ১ টি! তারপরেও এমন ভাবে লেখুন যেন আপনার পোষ্টের প্রতি তাদের আকর্ষণ প্রতিনিয়তই রয়ে যায়। গণহারে পোষ্ট পাবলিশ করতেই হবে এমন তো আর কোন নিয়ম নেই।
BE A YARDSTICK OF QUALITY. SOME PEOPLE AREN’T USED TO AN ENVIRONMENT WHERE EXCELLENCE IS EXPECTED. ONE HOME RUN IS MUCH BETTER THAN TWO DOUBLES.

Pick carefully

আপনি বেস্ত? সময় অনেক সংক্ষেপ? তারপরেও আপনার ব্লগে পোষ্ট দেয়া অতান্ত প্রয়োজন? তাহলে আপনার লেখার বিষয় বেছে নিন খুব যত্নসহকারে! এতে করে আপনি আপনার হাতে থাকা সময়ে সঠিক আর্টিকেল লিখতে পাড়বেন, নয়তো দেখা যাবে ১৫ মিনিটের একটি আর্টিকেল এর বিষয় নিয়ে আপনি তা ৫ মিনিটে লিখে পোষ্ট দিয়েছেন। যা কক্ষনোই সঠিক ভাবে পরিপূর্ণ নয়।
PEOPLE THINK FOCUS MEANS SAYING YES TO THE THING YOU’VE GOT TO FOCUS ON. IT MEANS SAYING NO TO THE HUNDRED OTHER GOOD IDEAS THAT THERE ARE. YOU HAVE TO PICK CAREFULLY.

Work hard to make it simple

পরিশ্রম করুন, কঠিন পরিশ্রম। আপনার কাজকে সহজ করতেই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। কারণ একবার পরিশ্রম করে আপনি যদি আপনার কাজকে সঠিক ভাবে বুঝতে ফেলতে সক্ষম হন, তবে পরবর্তী সময়ে আপনাকে কোন  কঠিন পরিশ্রম না করেই এর ফায়দা উঠিয়ে চলতে পাড়বেন।
DESIGN IS NOT JUST WHAT IT LOOKS LIKE AND FEELS LIKE. DESIGN IS HOW IT WORKS. SIMPLE CAN BE HARDER THAN COMPLEX. YOU HAVE TO WORK HARD TO GET YOUR THINKING CLEAN TO MAKE IT SIMPLE.
100611stevejobs

Steal great ideas

বেশি করে পড়ুন। এতে করে আপনার ভেতরের আইডিয়া গুলো, ইচ্ছে শক্তি গুলো আরো ব্যাপক ভাবে প্রসারিত হবে। আপনার কাছে নতুন, নতুন আইডিয়া আসার চেষ্টা করবে। ঠিক তখনি আপনি আপনার নিজের কাছ থেকেই আইডিয়া গুলো চুরি করার চেষ্টা করুন, চেষ্টা করুন বের করে নিয়ে এসে তা সমগ্র বিশ্ববাসির কাছে তুলে ধরতে।
WE HAVE ALWAYS BEEN SHAMELESS ABOUT STEALING GREAT IDEAS.

Your goal isn’t to make money

আর হ্যাঁ যে কথাটি সকলেই বলে থাকে তা হচ্ছে “আপনি আপনার লক্ষ্য কক্ষনো টাকা চাই, টাকা চাই ধাঁচের করবেন না। সব সময় চেষ্টা করুন সৃজনশীল কিছু করতে” । টাকাকে তাহলে অবশ্যই কোন না কোনোদিন আপনার কাছে ধরা দিতেই হবে।
APPLE’S GOAL ISN’T TO MAKE MONEY. OUR GOAL IS TO DESIGN AND DEVELOP AND BRING TO MARKET GOOD PRODUCTS. WE TRUST AS A CONSEQUENCE OF THAT, PEOPLE WILL LIKE THEM, AND AS ANOTHER CONSEQUENCE, WE’LL MAKE SOME MONEY.

Don’t lose faith

সর্বশেষে আপনাকে বলবো প্লীজ আপনি কখনোই আপনার মনের মাঝে জাগ্রত হওয়া সত্যিকারের বিশ্বাস হারায়েন না। আমাদের সবচে বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা অল্পতেই বিশ্বাস হারাই, অন্তত নিজের উপড় বিশ্বাস। যার ফলে আমরা অন্যদের দ্বারা প্রায় সমই ধোঁকা খেয়ে থাকি।
SOMETIMES LIFE HITS YOU IN THE HEAD WITH A BRICK. DON’T LOSE FAITH.
ধন্যবাদ কষ্ট করে এতোক্ষণ পোষ্টটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন, ভালো থাকার চেষ্টা করবেন….. :)

রোনালদো

.
রোনালদো

রোনালদো; জন্মঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৬) ব্রাজিলের ফুটবল তারকা। তিনি একজন খ্যাতিমান স্ট্রাইকার। তার পুরো নাম - রোনাল্দো লুইস নাজারিও ডি লিমা। সচরাচর তিনি রোনাল্দো নামে পরিচিত। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হিসেবে করিন্থিয়াসের পক্ষ হয়ে ২০১১ সালে খেলে অবসর গ্রহণ করেন। ‘’৯০-এর দশক থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের প্রথমার্ধে বিশ্বের অন্যতম দক্ষ গোলদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। তিনি মাত্র ২১ বৎসর বয়সে ১৯৯৭ সালে ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে ফিফা বালোঁ দ’অর এবং ২৬ বৎসর বয়সে ২০০২ সালে পুণরায় এই খেতাব অর্জন করেন। উপরন্তু, তিনি দু’জন ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে ফিফা’র বর্ষসেরা খেলোয়াড় হিসেবে তিনবার মনোনিত হন (অন্যজন হলেন ফরাসী ফুটবলার জিনেদিন জিদান)। ২০০৭ সালে রোনাল্দো ফরাসী ফুটবলে সর্বকালের সেরা একাদশের একজন হিসেবে স্থান পান এবং পেলে’র উত্তরসূরী হিসেবে ফিফা’র ১০০জন সেরা খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে মনোনিত হন। ২০১০ সালে তিনি গোল.কম-এর অনলাইন ভোটের ৪৩.৬৩% ভোট পেয়ে ’প্লেয়ার অব দ্য ডিকেড’সহ সেন্টার ফরোয়ার্ডের ‘টিম অব দ্য ডিকেড’ সম্মাননা পান। ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০১০ তারিখে রোনাল্ডো ঘোষণা করেন যে দু’বছর চু্ক্তির বর্ধিতাংশ হিসেবে করিন্থিয়াসের খেলোয়াড় হিসেবে ২০১১ মৌসুমে ফুটবল জগৎ থেকে অবসর নিবেন। তিনি বিশ্বব্যাপী ফুটবল বোদ্ধা ও সমর্থকদের কাছে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে চিহ্নিত। রোনাল্ডো ব্রাজিলের পক্ষে ৯৭টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করে ৬২টি গোল করেন। তিনি ১৯৯৪ ও ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ২০০৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলে রোনাল্ডো ১৫তম গোল করে জার্মানীর গার্ড মুলারের ১৪ গোলের রেকর্ড ভঙ্গ করে বিশ্বকাপ ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হন।

    ১ ক্লাব
১.১ ১৯৯৩: ক্রুজিরো
১.২ ১৯৯৪-১৯৯৬: পিএসভি আইণ্ডহোভেন
১.৩ ১৯৯৬-১৯৯৭: বার্সিলোনা
১.৪ ১৯৯৭-২০০২: ইন্টার মিলান
১.৫ ২০০২-২০০৭: রিয়েল মাদ্রিদ
১.৬ ২০০৭-২০০৮: এসি মিলান
১.৭ ২০০৯-২০১১: করিন্থিয়াস

১৯৯৩: ক্রুজিরো
১৯৯৩ সালে রোনাল্দো ক্রুজিরো দলে যোগদান করে ফুটবলে ক্যারিয়ার গড়েন ও দলটিকে সফলতম দলের পর্যায়ে নিয়ে যান। কোপা ডো ব্রাজিল চ্যাম্পিয়নশীপে ১৪ খেলায় ১২ গোল করে ১মবারের মতো দলটিকে শীর্ষস্থানে অধিষ্ঠিত করান। স্মরণযোগ্য যে, শৈশবে তার প্রিয় দল হিসেবে ফ্লেমিঙ্গোতে যেতে চাইলে ব্রাজিলিয়ান বিশ্বকাপের অন্যতম প্রতিভা জারজিনহো রোনাল্দো’র প্রতিভা দেখে বিস্মিত হন এবং ক্রোজিরোতে চলে যেতে সাহায্য করেন।
১৯৯৪-১৯৯৬: পিএসভি আইণ্ডহোভেন
১৭ বছরে বয়সী রোনাল্ডোকে ’৯৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে একটি খেলায়ও অংশ নিতে হয়নি। এর পর রোনাল্ডো পিএসভি আইণ্ডহোভেনে যোগদান করেন। ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার রোমারিও’র পরামর্শে ইউরোপের ক্যারিয়ার গড়তেই মূলতঃ তিনি পিএসভি-তে যোগ দেন। ১৯৮৮-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত রোমারিও দলটিতে স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন। রোনাল্দো ১ম মৌসুমে হল্যাণ্ডে লীগ পর্যায়ে ৩০ গোল করেন। ২য় মৌসুমে হাঁটুর আঘাতে জর্জরিত হলে বেশীরভাগ সময়ই দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিটি খেলাতেই গড়ে একটির মতো গোল করেন অর্থাত ১৩ খেলায় ১২ বার বিপক্ষের গোলপোস্টে বল ঢোকান। পিএসভি’তে থাকাকালীন ১৯৯৫ সালে এরিডিভাইস সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং ১৯৯৬ সালে দলকে ডাচ কাপ জেতান।
১৯৯৬-১৯৯৭: বার্সিলোনা
পিএসভি’তে থাকাকালীন অবস্থায় ইন্টার মিলান এবং বার্সিলোনা দলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। ততকালীন রেকর্ড হিসেবে ১৭ মিলিয়ন ডলারের ট্রান্সফার ফি প্রদান করে বার্সিলোনা‘র দলভূক্ত হন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে সকল স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রোনাল্দো ৪৯ খেলায় ৪৭ গোল করে সকলকে বিস্মিত করেন এবং বার্সা-কে ইউইএফএ কাপ উইনার কাপ, কোপা ডেল রে এবং সুপারকোপা ডি ইস্পানা জয়ে বিরাট ভূমিকা রাখেন; বিশেষ করে ইউইএফএ কাপ উইনার কাপের ফাইনালে তুরুপের গোল করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৭ সালে ৩৭ খেলায় ৩৪ গোল করে লা লিগা’য় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। ২০০৮-০৯ মৌসুম পর্যন্ত লা লিগা’য় রোনাল্দোর ৩০ গোল অক্ষুণ্ন ছিল। সবচেয়ে কমবয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ বছর বয়সে ১৯৯৬ সালে রোনাল্দো ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান। এছাড়াও তিনি ব্যলুন ডি’অরের রানার-আপ হন।
১৯৯৭-২০০২: ইন্টার মিলান
বার্সায় থাকাকালীন পুণরায় রোনাল্দো’র চুক্তিনামা নিয়ে সমস্যা হয়। রোনাল্দো অসন্তুষ্ট চিত্তে মৌসুমটি শেষ করেন এবং পরবর্তী বছরের জন্য ইন্টার মিলান কর্তৃপক্ষ ততকালীন বিশ্বরেকর্ডীয় ১৯ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে কিনে নেয়। রোনাল্দো পুণরায় সর্বোতভাবে ক্লাবটিকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং এ সময়ে ইউইএফএ কাপের ফাইনালে ৩য় গোলটি করে বিজয়ী হতে সাহায্য করেন।
রোনাল্দো প্রতশ মৌসুমে ইটালিয়ান স্টাইলে খেলতে থাকেন এবং লীগের গোলদাতাদের মধ্যে ২য় হন। তিনি পুর্ণাঙ্গ ফরোয়ার্ড হিসেবে উন্নতির চেষ্টা চালান। তিনি প্রথম পছন্দ হিসেবে পেনাল্টি আদায়সহ ফ্রিকিকের মাধ্যমে গোলদানে সক্ষমতা অর্জন করেন এবং শেষ মৌসুমে দলনেতার ভূমিকায় আসীন হন। ইন্টারে থাকাকালীন ডার্বি ডেলা ম্যাডোনিনায় প্রবল প্রতিপক্ষ এসি মিলানের বিরুদ্ধে অনেক গোল করেন। ১৯৯৭ সালে ২য় বারের মতো ফিফা কর্তৃক বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান ও ব্যলন ডি’অর অর্জন করেন। পরের বছর অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপের পর ফিফা ঘোষিত ২য় বারের মতো বছরের সেরা খেলোয়াড় হন এবং ৩য় বারের মতো সেরা ইউরোপিয়ান ফুটবলারের সম্মান পান। এই অর্জনগুলো তার ক্যারিয়ারসহ পরিস্কারভাবে এবং ব্যাপকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে সবাই মেনে নেয়।
নভেম্বর ২১, ১৯৯৯ সালে সিরি এ ম্যাচে লিসি’র বিরুদ্ধে খেলা চলাকালীন রোনাল্দো হাঁটুতে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন ও মাঠে গড়াগড়ি খান। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা যায় তিনি হাঁটুতে ফাঁটল ধরেছে এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পরে। এপ্রিল ১২, ২০০০ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে ফিরে আসেন। কিন্তু লাজি’ও বিরুদ্ধে কোপা ইটালিয়া প্রতিযোগিতার ১ম পর্বের ফাইনালে তিনি মাত্র ৭ মিনিট খেলে পুণরায় ২য় বারের মতো হাঁটুতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। দুই দুইবার অপারেশন এবং কয়েকমাস বিশ্রামে থেকে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে নিজেকে মেলে ধরেন ও ব্রাজিলকে ৫ম বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে সহায়তা করেন। পরে ২০০২ সালে রোনাল্দো ৩য় বারের মতো বছরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান এবং ইন্টার থেকে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যান। ইতালীয় সংবাদপত্রে রোনাল্দো তার অন্যতম পরিচিত ডাক নাম হিসেবে ইল ফিনোমেনো নামকে পরিচিত ঘটান। টাইমস অনলাইন কর্তৃক ইন্টারের সর্বকালের সেরা ২০ জনের একজন হিসেবে মনোনীত হন এবং একমাত্র শারীরিক আঘাতই তাকে উচ্চতম আসনে উঠতে বাঁধা দেয়। তিনি নেরাজুরিতে ৯৯ খেলায় ৫৯ গোল করেন।
২০০২-২০০৭: রিয়েল মাদ্রিদ
রোনাল্দো ৩৯ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে রিয়েল মাদ্রিদের সাথে চুক্তিনামায় স্বাক্ষরের পর তার জার্সি নম্বর প্রথম দিনেই সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে। অক্টোবর, ২০০২ পর্যন্ত আঘাতের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন কিন্তু তার সমর্থকেরা তার নাম ধরে উজ্জ্বীবিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা করে। রিয়েল মাদ্রিদের পক্ষে অভিষেকেই দু’টি গোল করেন। তিনি সান্টিয়াগো বারনেবিউ থেকে অভিবাদন গ্রহণ করেন। একই অভিবাদন গ্রহণ করেন এথলেটিক বিলবো’র বিরুদ্ধে চূড়ান্ত খেলায় গোল করে ১ম মৌসুমেই ২৩ গোল করে লা লিগা চ্যাম্পিয়নশীপ শিরোপা লাভে সহায়তা করেন। রিয়েলে থাকাকালীন ২০০২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ এবং ২০০৩ সালে স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে অবদান রাখেন। চ্যাম্পিয়নস লীগের ২য় পর্যায়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন ও ম্যান.ইউ-কে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করেন। রিয়েল ২০০৩-০৪ মৌসুমে রোনাল্দো’র আঘাতের পূর্ব পর্যন্ত জয়ের ধারায় আসে ও অপ্রতিদন্দ্বী হয়ে উঠেছিল এবং কোপা ডেল রে ফাইনালে হেরে যায়, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় ও লীগে ছন্দপতনের অধ্যায় শুরু হয়। এই মৌসুমে তিনি ২৪ গোল করে লীগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন এবং দল ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারলেও পিচিচি এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। রিয়েল মাদ্রিদ আর্সেনালের কাছে হেরে শেষ ষোলতে স্থান করে নিতে ব্যর্থ হয় ও তৃতীয়বারের মতো ট্রফিবিহীন অবস্থায় দিন কাটায়। রিয়েল মাদ্রিদে থাকাকালীন তাদের বৃহত প্রতিপক্ষ হিসেবে এটলিকো মাদ্রিদ ও বার্সোলোনার মতো দলগুলোর বিরুদ্ধে রোনাল্ডো গোল করেছিলেন। রুদ ভ্যান নিস্টেলরুইকে ২০০৬ সালে সাথে পেয়ে রোনাল্দো ইনজুরী ও ওজন বৃদ্ধির বিষয়গুলোকে পাশ কাটিয়ে দলের ম্যানেজার ফ্যাবিও ক্যাপিলো’র সহায়তায় আরো আগ্রাসী হয়ে প্রতিপক্ষকে কাঁপিয়ে তোলেন।
২০০৭-২০০৮: এসি মিলান

১৮ জানুয়ারী, ২০০৭ তারিখে জানা যায়, রোনাল্দো এসি মিলানের সাথে ৭.৫ মিলিয়ন পাউণ্ডের বিনিময়ে দল বদল করেছেন। রোনাল্দো চুক্তির বাকী সময়ের অর্থ প্রদান করে তবেই রিয়েল মাদ্রিদ ত্যাগ করতে পারবেন। কিন্তু এসি মিলান ঐ পরিমাণ অর্থ প্রদানে প্রস্তুত ছিল না। বৃহস্পতিবার, জানুয়ারী ২৫ তারিখে রোনাল্দো মাদ্রিদ থেকে মিলানে চলে যান এসি মিলানের পক্ষে রোমা’র বিরুদ্ধে খেলার জন্য। ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, রোনাল্দো চিকিতসার জন্য মিলানে গিয়েছিলেন এবং রিয়েল মাদ্রিদের কর্মকর্তাদের সাথে এসি মিলানের একটি মিটিং সোমবারে অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ জানুয়ারী মিলানেলো ট্রেনিং কমপ্লেক্সে রোনাল্দো ক্লাবের ডাক্তারদের উপস্থিতিতে মেডিক্যাল টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় ও সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন এবং দলে ৯৯নং জার্সিধারী খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হন। ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ তারিখে অনুষ্ঠিত অভিষেক ম্যাচে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন এবং ২-১ গোলে লিভোরনো দলের বিরুদ্ধে জয়ী হন। ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০০৭ তারিখে সিয়েনায় অনুষ্ঠিত পরের খেলায় রোনাল্দো দু’টি গোল করেন এবং পরে ৩য় গোল করে ৪-৩ গোল করে শ্বাসরুদ্ধকর খেলায় দলকে জয়ী করে শুভ সূচনা করেন। প্রথম মৌসুমে তিনি ১৪ খেলায় ৭ গোল করেন। এসি মিলানে অবস্থান করায় মিলান ডার্বিতে রোনাল্দো গুটিকয়েক খেলোয়াড় হিসেবে ইন্টার মিলান ও এসি মিলান উভয় দলের পক্ষে অংশ নিয়ে দু’দলেই গোল করেন (ইন্টার মিলানে ৯৮-৯৯ মৌসুম এবং এসি মিলানে ২০০৬-০৭ মৌসুমে)।
রোনাল্দো কখনোই সরাসরি প্রতিপক্ষের দলগুলোর সাথে স্থানান্তরিত হননি। শারীরিক অসুস্থতা ও ওজন সমস্যায় পড়ে রোনাল্দো মাত্র ৩০০ মিনিটের বেশী সময় এই মৌসুমে খেলেন। তিনি সান সিরোয় অনুষ্ঠিত নেপোলীর বিরুদ্ধে ৫-২ গোলে জয়ী দলে একমাত্র গোল করেন ও গোলটি তাকে স্মরণীয় করে রাখে। এই প্রথম এসি মিলানে অনেক আক্রমণাত্মক ভঙ্গীতে কাকা, আলেকজান্দ্রো পাতো ও রোনাল্দো’র মতো ত্রয়ী স্ট্রাইকার নামায় যা কা-পা-রো নামে তাদেরকে একত্রে ডাকা হতো। এসি মিলানের পক্ষে ২০ খেলায় ৯ গোল করেন রোনাল্দো। এতগুলো সাফল্য স্বত্ত্বেও রোনাল্দো তার ক্লাব ক্যারিয়ারে ইউইএফএ চ্যাম্পিয়নস্‌ লীগে জয়ী হতে পারেননি। ২০০৬-০৭ মৌসুমে এসি মিলান শিরোপাধারী হলেও মাদ্রিদের বিরুদ্ধে খেলায় অনির্ধারিত কারণে অংশ নেননি। সম্ভবতঃ তিনি ২০০৩ সালে রিয়েল মাদ্রিদকে সেমি-ফাইনালে উঠালেও জুভেন্টাসের কারণে হেরে যান বিধায় অংশ নেননি। ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০০৮ তারিখে রোনাল্দো কয়েকবার হাঁটুর আঘাতের কারণে স্টেচারে করে মাঠের বাইরে যান ও হাসপাতালে যেতে বাধ্য হন। ঐ খেলায় এসি মিলান লিভোরনোর সাথে ১-১ গোল করে ড্র করতে বাধ্য হয়। এসি মিলান ম্যাচ শেষে জানায় রোনাল্দো তার বাম পায়ের হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ডান পায়ে ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে আঘাতের পর এটি ৩য় বারের মতো ডান পায়ে আঘাতে ঘটনা ঘটলো রোনাল্দোর জীবনে। ঐ মৌসুম শেষে চুক্তি নবায়ণ না হওয়ায় তিনি মিলান থেকে ছাড়া পান।
২০০৯-২০১১: করিন্থিয়াস
রোনাল্দো হাঁটুতে অস্ত্রোপাচার শেষে ফ্ল্যামিংগোতে যোগদানের আগ্রহ দেখালে ক্লাবের পরিচালনা পরিষদ জানায়, তিনি যে কোন সময় যোগদান করতে পারেন ও তার জন্য জন্য ক্লাবের দরজা খোলা। কিন্তু, ৯ ডিসেম্বর তিনি ফ্ল্যামিংগোর লীগ প্রতিপক্ষ করিন্থিয়াসের সাথে ১ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই ঘোষণাটি ব্রাজিলের প্রচার মাধ্যমে খুবই প্রচারণা পায় যে তার ভালবাসা ফ্ল্যামিংগোর চেয়ে করিন্থিয়াসেই বেশী যদিও রোনাল্দো ঘোষণা করেছিলেন তিনি ফ্ল্যামিংগো সমর্থক এবং কখনো প্রতিপক্ষে যোগ দেবেন না।
৪ মার্চ, ২০০৯: এস্টাডো জুসিলিনো কুবিটসেকে অনুষ্ঠিত কোপা ডো ব্রাজিল কাপে ১ম ম্যাচ খেলেন জর্গ হেনরিকের পরিবর্তে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ইতুম্বিয়ারার বিরুদ্ধে। করিন্থিয়াসের পক্ষে ক্যাম্পিওনাটো পাওলিস্টা কাপে পালমেইরাসের বিরুদ্ধে ১ম গোল করেন ৮ মার্চ, ২০০৯ তারিখে। তিনি ক্যাম্পিওনাটো পাওলিস্টা কাপে ১৪ খেলার মধ্যে ১০ গোল করে করিন্থিয়াসকে জয়ী হতে সাহায্য করেন। রোনাল্দো ইন্টারনাসিওনালকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে করিন্থিয়াসকে ৩য় বারের মতো (ক্যারিয়ারে ২য়) ব্রাজিল কাপ জয়ে সাহায্য করেন। এছাড়াও কোপা লিবেরাটাডোরস ২০১০ জয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গোয়িয়াসের বিপক্ষে খেলে পুণরায় মাঠে ফিরে আসেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে তিনি সাও পাওলোর বিপক্ষে গোল করে ১-১ ড্র করতে সাহায্য করেন। তিনি ব্রাজিলিয়ান সিরি এ ২০০৯ লীগে ২০ খেলায় ১২ গোল করেন। ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে রোনাল্দো চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন। এতে করে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলবেন ও এরপরই তিনি ক্রীড়াঙ্গন থেকে অবসর নিবেন।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলাম্বিয়ান দল ডিপোর্টেস টোলিমা'র কাছে পরাজিত হযে করিন্থিয়াস ২০১১ সালের কোপা লিবারট্যাডোরসে খেলার যোগ্যতা হারায়। এর পরপরই তিনি ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে
১৯৯৪ সালে ব্রাজিলের পক্ষে রেকাইফে অনুষ্ঠিত আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে রোনাল্দোর আন্তর্জাতিক খেলায় অভিষেক হয়। ঐ বছরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপে ১৭ বছর বয়সী রোনাল্দো কোন ম্যাচ খেলেননি। তিনি রোনাল্দিনহো (পর্তুগীজ শব্দ লিটিল রোনাল্দো) নামে পরিচিত ছিলেন কেননা তার বড় ও দলীয় সঙ্গী হিসেবে রোনাল্দো রডরিগুয়েজ ডি জিসাস টুর্ণামেন্টে রোনাল্দো নামে এবং ডাক নাম হিসেবে রোনাল্দাও (বড় রোনাল্দো) অংশ নেন। ফলে তাদের চিহ্নিত করণে যথাক্রমে লিটিল ও বিগ রোনাল্দো হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। এছাড়াও ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে রোনাল্দো ডি আসিস মোরিয়েরা নামে একজন খেলোয়াড় ছিলেন, তিনি রোনাল্দিনহো নামে চিহ্নিত ও রোনাল্দিনহো গাওচো হিসেবে ১৯৯৯ সালে ব্রাজিলের প্রধান জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আটলান্টায় আয়োজিত অলিম্পিক গেমসে রোনাল্দো তার শার্টে রোনাল্দিনহো নামে মাঠে নামেন দু’বছরের বড় রোনাল্দো গুইয়ারোর জন্য। অলিম্পিকে ব্রাজিল ব্রোঞ্জ মেডেল জয়ী হয়। ১৯৯৬ ও ১৯৯৭ সালের ফিফার বছরের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদার অধিকারী রোনাল্দো ১৯৯৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপে ৪ গোল করে তিনটি সম্মাননা লাভ করেন। ফাইনালের আগে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ না হলেও কোচ মারিও জাগালোকে প্রভাবান্বিত করে খেলেন। কিন্তু ফ্রান্সের গোলরক্ষক ফাবিয়েন বার্থেজের সাথে পুণরায় সংঘর্ষে পড়েন ও আঘাতপ্রাপ্ত হন। খেলায় ব্রাজিল স্বাগতিক ফ্রান্সের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যায়। ব্রার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল নিওরোলজি বিভাগের অধ্যাপক আদ্রিয়ান উইলিয়ামসের মতে, “রোনাল্দো অস্ত্রোপাচারের পর স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করেননি এবং ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে তিনি তার সেরা দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন না - যদিও তিনি তা পারেননি।” ২০০২ সালের ফিফা বিশ্বকাপে রোনাল্দো পুণরায় তার দক্ষতা দেখিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ৫ম বারের মতো ব্রাজিলকে জয়ী করান এবং তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে ৮ গোল করে গোল্ডেন সু জয়ী হন ও গোল্ডেন বলের পুরস্কারে রানার-আপ হয়ে টুর্ণামেন্টের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় মনোনীত হন। তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যাণ্ডের বিপক্ষে গোলবিহীন অবস্থায় থাকলেও টুর্ণামেন্টের প্রতিটি প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে গোল করেন। ফাইনাল খেলায় জার্মানীর বিরুদ্ধে তার একাদশ ও দ্বাদশ গোল করার মাধ্যমে বিশ্বকাপে পেলের ১২ গোলের সমকক্ষ হন। ২ জুন ২০০৪: চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পেনাল্টির মাধ্যমে অপ্রত্যাশিতভাবে হ্যাট্রিক করে ব্রাজিলকে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ খেলায় উত্তীর্ণ ঘটান। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল তাদের গ্রুপের প্রথম দু’টি খেলায় ক্রোয়েশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ী হয় যাতে রোনাল্দো অতিরিক্ত ওজনধারী ও গতিহীন ছিলেন। এরপরও কোচ কার্লোস আলবার্তো পেরেইরা অতিরিক্ত সময়ে তাকে খেলান ও ৩য় খেলায় জাপানের বিপক্ষে দু’টি গোল করে ২০তম খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপে গোল করার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হন এবং বিশ্বকাপে গার্ড মুলারের রেকর্ডসংখ্যক ১৪ গোলের সমকক্ষ হন (রোনাল্দো ফ্রান্স ৯৮, কোরিয়া / জাপান ২০০২ এবং জার্মানী ২০০৬) এবং শেষ ১৬ দলের একটি দল ঘানার বিপক্ষে ১৫তম গোল করে মুলারের রেকর্ড ভঙ্গ করেন। মৃদুভাষী রোনাল্দো ২০০৬ বিশ্বকাপে তার ৩য় গোল করে জার্গেন ক্লিনস্‌ম্যানের পর ২য় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিটি বিশ্বকাপে কমপক্ষে ৩ গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেন। যদিও কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হেরে ব্রাজিল বিদায় নেয়।
ব্যক্তিগত জীবন
১৯৯৭ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী সুসানা ওয়ার্নারের সাথে ব্রাজিলিয়ান টেলিনোভেলা মালহাকাওয়ে তিনটি পর্বে একত্রে অভিনয় করে একে-অপরের সাথে পরিচিত হন। কিন্তু বিয়ে না করেই দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক বজায় রাখেন ও ১৯৯৯ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত মিলানে একত্রে বাস করেন। এপ্রিল, ১৯৯৯ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলিয়ান প্রমিলা ফুটবলার মিলেনে ডোমিনগুয়েজকে বিয়ে করেন ও তাদের প্রথম সন্তান রোনাল্দ জন্ম নেয়। ২০০৫ সালে রোনাল্দো ব্রাজিলিয়ান মডেল এবং এমটিভি ভিজে দানিয়েলা সিকারেলির সাথে সম্পর্ক গড়েন। চাটিও ডি চানটিলিতে অনুষ্ঠিত বিয়েটি মাত্র ৩ মাসে টেকে। অনুষ্ঠানে ৭ লক্ষ ইউরো ব্যয় হয় বলে জানা যায়। এছাড়াও, রোনাল্দো ব্রাজিলিয়ান সুপার মডেল রাইকা অলিভিরার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন যা ডিসেম্বর, ২০০৬-এ শেষ হয়ে যায়

এক রাতের গণিতবিদ এভারিস্ত গ্যালোয়া

প্রায় বেশির ভাগ মানুষই এই মহান গনিত বিদের নাম জানিনা।আর এই মহান গনিতবিদ হলেন এভারিস্ত গ্যালোয়া,যিনি একজনফরাসি গণিতবিদ। গ্যালোয়ার জন্ম ২৫অক্টোবর, ১৮১১। ১৪ বছর বয়সে গনিতের সাথে তার প্রথম পরিচয় ঘতে । তিনিই গ্রুপ থিউরির জনক । তাঁর কশির কাছে লেখা একটি চিঠিতে  তিনি প্রমাণ  করেন যে, পঞ্চম বা তার বেশি মাত্রার পলিনমিয়ালের সাধারণ সমাধান মূলকের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আবিষ্কারটি যতটা না গুরুত্বপূর্ণ, তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তিনি যে উপায়ে প্রমাণ করেন সেই উপায়টি। যেদিন প্রথম ক্লাশে গনিত পড়ানো হয়, তার মধ্যে যেন একটা বিপর্যয় ঘটে যায় । তিনি গনিতে এতই মজে ছিলেন যে, অন্য সব কিছু পড়া একেবারে ছেড়ে দিলেন। সব কিছুতে খুব খারাপ করতে লাগলেন । আগে তেমন খারাপ ছাত্র ছিলেন না, ল্যাটিন ভাষায় দক্ষতার জন্য পুরস্কারও পেয়েছিলেন , কিন্তু এখন অন্য বিষয় গুলোতে তার পাশ করার বেশ কঠিন হয়ে গেল। গনিত চর্চায় এতই এগিয়েছিলেন ,যে তার হঠাত মনে হওয়া শুরু হল, যে তাকে গনিতে  শেখানর মত স্কুলের শিক্ষকদের কাছে আর অবশিষ্ট কিছুই নেয় । ফলে নিজেই নিজের মত বই কিনে গনিত চর্চা শুরু করলেন । কিন্তু এইবার ভিন্ন সমস্যা শুরু হল। গ্যালোয়া যেই পরিমানে গনিত বুঝেন , তত গনিত আসলেও তার শিক্ষকরাও বুঝতেন না । ফলে পরিক্ষার খাতায় গ্যালোয়া যা উত্তর করেন তার কিছুই তাদের বোধগম্য হত না । এবার গ্যালোয়া গনিতেও খারাপ করা শুরু করলেন। ১৮২৮ সালে তিনি École Polytechnique  নামক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেন। এটা ছিলো গনিতের জন্য ততকালীন ফ্রান্সের সবচেয়ে ভালো প্রতিষ্ঠান । এরই মধ্যে তিনি পড়ে ফেলেছেন Adrien Marie Legendre' এর Éléments de Géométrie, Joseph Louis Lagrangeএর Réflexions sur la résolution algébrique des équations (এটি পরবর্তিতে তাকে ইকুয়েশন থিওরীতে কাজ করতে আগ্রহী করে তোলে), Leçons sur le calcul des fonctions ইত্যাদি । কিন্তু মৌখিক পরিক্ষায় গিয়ে তিনি পরীক্ষকদের কোন প্রশ্নের উত্তরেই সন্তুষ্ট করতে পারলেন না । আসলে তিনি তাদেরকে উত্তর এমন অল্পকথায় ব্যাখ্যা ছাড়া দিয়েছিলেন যে কেউ তা বুঝতে পারে নি । ফলে তিনি École Polytechnique তে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। পরে তিনি অপেক্ষাকৃত নিম্ন র‍্যাংকিং এর বিশ্ববিদ্যালয় 'École préparatoire তে ভর্তি হন সেই বছর। স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ব্যর্থ গ্যালোয়া তার সমস্ত জিদ যেন ঢেলে দেন গনিতের উপরে । তুমুল উৎসাহে মেতে ওঠেন ত্রিঘাত, চতুর্ঘাত আর পঞ্চঘাত সমীকরনে । ১৮২৯ সালে তার প্রথম গবেষনা পত্র প্রকাশ হয় Annales de mathematiquesএ continuous fraction এর উপরে । অনেক পরিস্রম করে ২ টি রিসার্চ পেপার তৈরি করে জমা দেন Academy of Sciencesএ । তখন Academy of Sciences. এর প্রধান ছিলেন বিখ্যাত গনিতবিদ Augustin Louis Cauchy । পেপার দুটির জন্য তিনি নিজেই সুপারিশ করেছিলেন।কিন্তু পেপার গুলো তেমন সাজানো ছিলনা।তাই তিনি গ্যালোয়ার কাছে পেপার দুটি ফেরত পাঠান পুনর্বিন্যাস ও ভালোভাবে ব্যাখ্যা করে লেখার জন্য । বছর ঘুরতেই(১৮২৯) রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের  শিকার হয়ে গ্যালোয়ার বাবা আত্মহত্যা করেন। পিতার মৃতদেহ  সতকার করে গ্যালোয়া প্যারিস ফিরলেন,পরে পেপার দুটোর কাজ শেষ করে তার পেপার দুটি জমা দিলেন একাডেমির সেক্রেটারি স্যার জোসেফ ফুরিয়ারে কাছে । কিন্তু সেবার গ্যালোয়া পুরস্কার পান নি । পুরস্কার ঘোষনার কিছু দিন আগে ফুরিয়ার মারা যান এবং তার পেপার যে জমা হয়েছে এমন কোন ডকুমেন্টের অস্তিত্বই ছিল না । ফলে  রাজনৈতিক কারনে গ্যলয়ার পেপার গায়েব হয়েছে বলে তার সন্দেহ হল । এই সন্দেহ পুরোপুরি বাস্তবে প্রমানিত হল যখন তার পরে একাধিক গবেষনা পত্র একাডেমি অফ সায়েন্স ফেরত পাঠাল অযৌক্তিক ও অবোধ্য এর খোড়া যুক্তি দেখিয়ে (১৮৩০)। সে বছর গ্যালোয়া মোট ৩টি গবেষনা পত্র প্রকাশ করেন , যার মধ্যে একটি বিখ্যাত Galois theory এর ভিত্তি গরে দেয় , অন্য দুইটি ছিল আধুনিক উপায়ে সমিকরনের মুল নির্নয় সম্পর্কিত এবং নাম্বার থিওরি নিয়ে । শেষক্তটি বেশ গুরুত্ববাহি কারন finite field এর এর ধারনা প্রথম এখানে পাওয়া যায় । সে বছর গ্যালোয়া তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টরকে গালিগালাজ করে একটি প্রতিবেদন লেখেন । ডিরেক্টর ছিলেন প্রজাতন্ত্রের সমর্থক। সুতরাং তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয় । এর পর তিনি যেন পুরোই উচ্ছনে গেলেন । বছর ঘুরতেই(১৮৩১) মদ আর সন্ত্রাস তার নিত্যসঙ্গী। কখনও চাকু হাতে সম্রাটকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন খোলা রাস্তায়, তো পরক্ষনে গ্রেফতার। ছাড়া পেয়ে আবার নিষিদ্ধ ন্যাশ্নাল গার্ডের পোশাক পরে রাস্তায় বের হলে তার জেল হয়ে যায় । এক মাস পর গ্যালোয়া জেল থেকে ছাড়া পান । কিছুদিন পর তার প্রনয়ের খবর চাঊর হয়ে গেল। প্রয়সী স্টাফানি ফেলিসি । স্টাফানি এক বিখ্যাত ডাক্তারের মেয়ে, প্যারিসের এক সম্ভ্রান্ত বংশের ছেলে পেশ্চু ডি’হেরবিনভিল এর বাগদত্তা । পেশ্চু এই ঘটনায় খুব রেগে গেলেন। অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে শুটিং ডুয়েলের চ্যালেঞ্জ দেন গ্যালোয়াকে । ডুয়েলের আগের রাতে(১৮৩২) নিজের মৃত্যু সম্পর্কে গ্যালোয়া এতই নিশ্চিত ছিলেন যে সারারাত জেগে তার থিওরেমগুলো লিখে ফেলেন। তার সে রাতের কাজের মধ্যে দিয়ে আলোর মুখ দেখে গ্রুপ থিওরি। সাথে একটি চিঠি লিখেন যে তার যদি পরদিন ডুয়েলে মৃত্যু হয় তাহলে যেন তার কাজগুলোকে ইউরোপের বড় বড় গনিতবিদদের কাছে পৌছে দেয়া হয়। পরদিন,৩০মে,১৮৩২, ডুয়েলে গ্যালোয়াকে নিখুত নিশানায় ভুলুন্ঠিত করে । ৩১মে মৃত্যু হয় মহান গনিতবিদ গ্যালোয়ার । কিন্তু মাত্র একরাতে গ্যালোয়া যা লিখছিলেন তার মর্ম উদ্ধার করতে গাউস,জ্যাকোবিদের অনেক গলদঘর্ম হতে হয়েছে । গ্যালোয়ার মৃত্যুর ১৪ বছর পর, ১৮৪৬ সালে লিউভিল সেই কাগজগুলো থেকে যে থিওরি উদ্ধার করেন তা তিনি গ্যালোয়ার থিওরি নামে প্রকাশ করেন । তার কাজের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে গ্যালোয়া থিওরি এবং গ্রুপ থিওরি, যা কিনা Abstract

বিয়ার গ্রিলস ( bear grylls )


এডওয়ার্ড মাইকেল বিয়ার গ্রিল্‌স (বিয়ার গ্রিলস)
জন্ম :   ৭ জুন ১৯৭৪ (বয়স ৪০) , যুক্তরাজ্য
পেশা :  স্কাউট প্রধান, অভিযাত্রিক, লেখক, বক্তা, টেলিভিশন উপস্থাপক
দম্পতি :  সারা কেনিংস
সন্তান  :   জেস, মার্মাডিউক, এবং হাক্‌লবেরি
পিতা-মাতা  :   স্যর মাইকেল গ্রিলস, লেডি গ্রিলস
ব্যক্তিগত জীবন :
বিয়ার গ্রিলস উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডোনাঘাডি এলাকায় ৪ বছর বয়স অবধি শৈশব অতিবাহিত করেছেন। এরপর তিনি তাঁর পরিবারের সাথে বেমব্রিজ অঞ্চলে যান। কনজারভেটিভ পার্টির মরহুম রাজনীতিবিদ স্যার মাইকেল গ্রিলস ছিলেন বিয়ারের পিতা। বিয়ারের মা হলেন লেডি গ্রিলস যার মা প্যাট্রিসিয়া ফোর্ড ছিলেন পেশায় একজন রাজনীতিবিদ এবং সংসদ সদস্য। বিয়ার গ্রিলসের একজন বড় বোন রয়েছেন, তাঁর নাম লারা ফাউসেট। লারা পেশায় একজন টেনিস কোচ। লারাই বিয়ার গ্রিলসের “বিয়ার” নামটি দেন যখন তাঁর বয়স কেবল এক সপ্তাহ।
গ্রিলস ইটন হাউস, লুডগ্রুভ স্কুল, ইটন কলেজে শিক্ষা লাভ করেছেন। ইটন কলেজের ছাত্রাবস্থায় তিনি সেখানকার প্রথম পর্বতারোহণ ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। অতি অল্প বয়সেই গ্রিলস তাঁর বাবার কাছ থেকে পর্বতারোহণ এবং নৌচালনা শিখেছেন। তাঁর বাবা নৌচালনায় দক্ষ ছিলেন। কৈশোরেই গ্রিলস স্কাইডাইভিং এবং কারাতে শেখেন। তিনি যোগ ও নিনজৎসু চর্চা করেন। আট বছর বয়সে তিনি কাব স্কাউট হন। গ্রিলস ইংরেজি, স্প্যানীয় এবং ফরাসি ভাষা জানেন। তিনি ধর্মে একজন খ্রিস্টান, এবং তিনি ধর্মবিশ্বাসকে তাঁর জীবনের “মেরুদন্ড” হিসেবে অভিহিত করেছেন।
বিয়ার গ্রিলস ২০০০ সালে সারা গ্রিলসকে বিয়ে করেন। তাঁদের তিন পুত্র সন্তান রয়েছে। তাঁদের নাম জেস, মার্মাডিউক এবং হাক্‌লবেরি।
সামরিক বাহিনীতে চাকরি
বিদ্যালয় জীবন শেষ হবার পর বিয়ার গ্রিলস ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার মনঃস্থ করেন। এসময় তিনি সিক্কিম অঞ্চলে হিমালয়ে হাইকিং করেন। গ্রিলস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং ইউনাইটেড কিংডম স্পেশাল ফোর্স রিজার্ভে কাজ করেন। স্পেশাল এয়ার সার্ভিসে তিনি ১৯৯৬ পর্যন্ত তিন বছর কাজ করেন। ১৯৯৬ সালে জাম্বিয়ায় গ্রিলস একটি প্যারাশুট দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। এসময় গ্রিলসের চিরতরে হাঁটার ক্ষমতা বন্ধের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পরবর্তী বারো মাস গ্রিলস মিলিটারির সকল কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকেন। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন এবং তাঁর শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের নেশায় উদ্বেলিত হন। মানব সেবায় অবদান রাখার জন্যে ২০০৪ সালে গ্রিলসকে সম্মানসূচক পদ লেফটেন্যান্ট কমান্ডারে পদোন্নতি দেয়া হয়।
এভারেস্ট জয়
১৯৯৮-এর ১৬ মে বিয়ার গ্রিলস তাঁর শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন। আট বছর বয়সে যখন তাঁর বাবা তাকে এভারেস্টের একটি ছবি উপহার দেন, তখনই গ্রিলসের মনে এভারেস্ট জয় করার ইচ্ছা জাগে। এভারেস্ট জয়ের মাধ্যমে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এ সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ হিসেবে এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড করেন। তাঁর প্যারাশুট দুর্ঘটনার আঠারো মাস পরেই তিনি এভারেস্টে আরোহণ করেন। জেমস অ্যালেন নামের একজন অস্ট্রেলীয় নাগরিক ২২ বছর বয়সে একটি দলের সাথে এভারেস্ট জয় করেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এভারেস্ট জয় করে রব গন্টলেট নামের এক ব্রিটিশ তরুণ গ্রিলসের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন।

গণমাধ্যম
বিয়ার গ্রিলস টেলিভিশন জগতে প্রবেশ করেন একটি ডিওডোরেন্টের বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ইংল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নির্মিত সেনাবাহিনীর মাদক-বিরোধী টিভি ক্যাম্পেইনেও বিয়ার গ্রিলস উপস্থিত হন। এছাড়া বিশ্বখ্যাত হ্যারডস দোকানের বিজ্ঞাপনেও গ্রিলস অংশগ্রহণ করেন। গ্রিলস বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রাইডে নাইট উইথ জোনাথন রোজ, অপরাহ উইনফ্রে শো, দ্য টুনাইট শো উইথ যে লেনো, দ্য লেট শো ডেভিড লেটারম্যান ইত্যাদি। গ্রিলস ইন্টারনেটে পাঁচ পর্বের একটি সিরিজে উপস্থিত হন যেখানে তাকে নগর-জীবনে টিকে থাকার কৌশল দেখাতে হয়। ওয়ার্নার ব্রাদার্স গ্রিলসকে তাদের ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।
বিয়ারের প্রথম রচিত বইয়ের নাম ফেসিং আপ। এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত বইয়ের তালিকায় স্থান পায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রে দ্য কিড হু ক্লাইম্বড এভারেস্ট নামে প্রকাশিত হয়। এভারেস্টে তাঁর অভিযান এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে রচিত দ্বিতীয় বই ফেসিং দ্য ফ্রোজেন অশেন ২০০৪ সালে উইলিয়াম হিল স্পোর্টস বুক অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। গ্রিলসের তৃতীয় বই বর্ন সারভাইভর: বিয়ার গ্রিলস; এটি পৃথিবীর বেশ কিছু প্রতিকূল পরিবেশে তাঁর টিকে থাকার অভিজ্ঞতা অবলম্বনে রচিত হয়েছে। এটি সানডে টাইমস টপ টেন বেস্ট সেলার তালিকায় স্থান পায়। এছাড়া তিনি বিয়ার গ্রিলস আউটডোর অ্যাডভেঞ্চার নামে একটি বই লিখেন। ২০১১ সালে বিয়ার গ্রিলস আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এর নাম মাড, সোয়েট অ্যান্ড টিয়ারস: দ্য অটোবায়োগ্রাফি। দুর্গম স্থানে টিকে থাকার কৌশলের উপর শিশু-কিশোরদের জন্য তিনি বেশ কটি বই রচনা করেন। এগুলো হল মিশন সারভাইভাল: গোল্ড অফ দ্য গডস, মিশন সারভাইভাল: ওয়ে অফ দ্য ওলফ, মিশন সারভাইভাল: স্যান্ডস অফ দ্য স্করপিয়ন, মিশন সারভাইভাল: ট্র্যাক্স অফ দ্য টাইগার।
এস্কেপ টু দ্য লিজিওন
২০০৫ সালে বিয়ার গ্রিলস এবং তাঁর এগারো সহযোগীর ফ্রেঞ্চ ফরেন লিজিওনের আওতায় সাহারা মরুভূমিতে প্রশিক্ষণের উপর এস্কেপ টু দ্য লিজিওন নামে একটি টেলিভিশন শো নির্মিত হয়। এটি যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এছাড়া ২০০৮-এও এটি যুক্তরাজ্যের হিস্টোরি চ্যানেলে পুনঃপ্রচারিত হয়।
 
বর্ন সারভাইভর/ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড
ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড এর একটি পর্বের চিত্রায়নের পূর্বমূহুর্তে তোলা একটি ছবি।

যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর-এ বর্ন সারভাইভর: বিয়ার গ্রিলস নামে গ্রিলস একটি প্রোগ্রাম করে থাকেন। এটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড নামে প্রচারিত হয়। এছাড়া ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেক দেশীটি আল্টিমেট সারভাইভাল নামে প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানে দেখানো হয়, বিয়ার গ্রিলসকে কোন প্রতিকূল পরিবেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই পরিবেশে প্রতিকূলতার মধ্যে কীভাবে বে৬চে থাকাওতে হয় তা গ্রিলস প্রদর্শন করে। ২০০৬ সালে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড শুরু হয় এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাধিক জনপ্রিয় টেলিভিশন প্রোগ্রামে পরিণত হয়। বিশ্বজুড়ে ১.২ বিলিয়ন মানুষ এই অনুষ্ঠান দেখে থাকে।
এই অনুষ্ঠানে দেখায় বিয়ার গ্রিলস সুউচ্চ পর্বত-শৃঙ্গে আরোহণ করছে, হেলিকপ্টার থেকে প্যারাশুট নিয়ে নামছে, প্যারাগ্লাইডিং করছে, বরফ-আবৃত পাহাড়ে উঠছে, গভীর অরণ্যের আগুনের মধ্য দিয়ে দৌড়াচ্ছে, সাপ পোকা-মাকড় কীট-পতঙ্গ খাচ্ছে, মরুভূমির কড়া রোদ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রস্রাব-সিক্ত টিশার্ট দিয়ে মাথা আবৃত করছে, সাপের খোলসের মধ্যে প্রস্রাব জমিয়ে রেখে পান করছে, হাতির মল নিঃসৃত তরল পান করছে, হরিণের বিষ্ঠা খাচ্ছে, কুমিরের সাথে যুদ্ধ করছে, সীলের চামড়াকে পোশাকের মত বানিয়ে সাঁতারের সময় হ্রদের হিমশীতল পানি থেকে পরিত্রাণের জন্য তা পরিধান করছে, জলপ্রপাত থেকে ঝাপিয়ে পড়ছে, বাঁশ দিয়ে ভেলা বানিয়ে সাগর পাড়ি দিচ্ছে, সাগরের তলদেশে কোন প্রকার যন্ত্রের সাহাযে ছাড়াই মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী শিকার করে খাচ্ছে, প্রতিকূল পরিবেশে আশ্রয় হিসেবে স্থানীয় হিনিস দিয়ে থাকার জায়গা বানাচ্ছে এবং দুর্গম পরিবেশে টিকে থাকার জন্য এমনি আরো উপায় ও কৌশল সে অবলম্বন করছে।
২০১২ এর মার্চে ডিসকভারি চ্যানেল বিয়ার গ্রিলসের সাথে চুক্তি-সংক্রান্ত মতৈক্যের কারণে ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠান নির্মাণ বন্ধ করে।

Julian Assange

সারা পৃথিবীজুড়ে চলছে গরিবের উপর ধনীদের অত্যাচার,উন্নত বিশ্বগুলো চালাচ্ছে উন্নয়ানশীল দেশগলোর উপর বঞ্চনার স্টিম রোলার।প্লেটের ভাত যারা কেড়ে নিচ্ছে,যারা সন্ত্রাসী ধমনের নাম করে মেরে যাচ্ছে বেসামরিক মানুষ,যারা কেড়ে নিচ্ছে শিশুর ভবিষ্যত তারা আর যাই হোক কারো বন্ধু হতেই পারেনা।
বাংলাদেশের মত উন্নয়ানশীল রাষ্ট্রগুলোর কোন ক্ষমতা নেই এই সকল অবিচারের প্রতিবাদ করার,নেই তাদের হুশিয়ারী করার মত পথ,নেই তাদের কোনভাবে আটকানোর রাস্তা।

পৃথিবীর বহুদেশ আর হারিয়েছে নিজেদের অস্তিত,নেই মানচিত্রে তাদের নিজস্ব ভুমির আয়তন,নেই এটা আমার দেশ বলার মত ভুমি। যেখানে মাথার উপরে আকাশ হয় তাদের চাদ,যেখানে মৃত পশুর পচাঅংশ হয় শিশুদের আহার,যেকানে কোন মাকে উজ্জত ডাকতে বেচে নিতে হয় ছালার বস্তা।
নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার হচ্ছে দেখে নিজেকে যিনি ঠিক রাখতে পারলেন না,যিনি বসে গেলেন একাই বানাতে লেগে গেলেন এক নতুন কোডিং ট্যাগ,এক নতুন বোমা,এক নতুন স্বপ্ন,একটি নতুন আকাশ,একটি নতুন প্রহর।

জানেন তো সেই বোমার নাম কি ? জানেন তো সেই বোমা কার হাতেই তৈরী শুরু হয়েছে ?

না জানলে জেনে নিন সেই লড়াকু মানুষটির নাম- জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

তার তৈরী বোমার নাম- উইকিলিকস
বোমাটির কাজ - চাপা পড়া সত্য বের করে আনা
সেই কোডিং ট্যাগটি হচ্ছে -
আপনি কোন দিন পারবেন না নিরীহ মানুষের হাসি পিরিয়ে দিতে,পারবেন না যা তারা হারিয়েছে তা পুনরায় এনে দিতে,পারবেন না নবীনদের জন্য সুন্দরকরে পৃথিবী সাজাতে, আসলে অত্যাচারীরা আপনাকে দিবে না সেই সুযোগ।
চারদিক হতেই গরিব দেশগুলোকে ঘিরে রাখা হয়েছে, একটা কথা মনে রাখবেন চোরে চোরে মাসতুতো ভাই, যতই চিন কিংবা জার্মানী আমেরিকা কে বলুক না কেন যে,তোমরা অমুক দেশকে আক্রমন করলে আমরা তোমাদের চাড়বো না,আসল কথা হচ্ছে বিশ্ব যুদ্ধ লাগলে ক্ষমাতাশীল দেশগুলোই একত্র হয়ে পৃথিবীর বাকি দেশগুলো ভাগ করে দখল করে নিবে।

এক কথায় আমেরিকানদের থেকে আপনার আমার বাঁচার কোন রাস্তা নেই, সব স্থানেই তাদের হস্তক্ষেপ আছেই, আপনি আপনার দেশে একটা তেলের খনি পেলে তার ভাগ ও তাদের দিতে হবে, না হয় অল্প দামে তাদের কাছে বিক্রি করতে হবে,অপারগতা জানালে আপনার দেশে ইন্টারন্যাশনাল সন্ত্রাসী আছে বলে ড্রোন কিংবা বিমান হামলা চালিয়ে নীরিহ মানুষ হত্যা করবে।

আপনার কাছে কোন অস্ত্র আছে?যা দিয়ে ন্যাটো কিংবা আমেরিকান বাহিনীর সাথে লড়বেন ? পারবেন কি নিজের শেষ সম্বল বাচাতে ? পারবেন কি নিজের দেশের খনিজ সম্পদগুলো নিজেদের বলে দাবি করতে ?
কোথ্থেকে পারবেন আপনি তো বড় কোন পারমানবিক পরীক্ষাও চালাতে পারেবন না,তাহলেই আপনার নাষে বানিজ্য বন্ধ।
আমাদের মত উন্নয়ানশীল দেশুগুলো আজ থেকে ৫০ বছর পর যে অস্ত্র ব্যবহার করবে আমেরিকা তা আরো ১০ বছর আগ থেকেই ব্যবহার করছে। আজ থেকে ২০ বছর পরে ব্যবহার করার জন্য আমেরিকান রা পারমানবিক বোমা কিংবা উন্নত বিমান কিংবা রোবাট তৈরী করে প্যাকেট করে রেখে দিয়েছে।
আমাদের কোন পথ নেই ? কোন উপায় নেই ? কেউ কি নেই নিরীহ মানুষের পাশে ? কে বলেছে কেউ নেই আছে একজন,যার হাত ধরেই দিন দিন বড় হচ্ছে উইকিলিকস এর আয়তন।

পৃথিবী জুড়ে কোটি কোটি নিপিড়িত মানুষ,লাখ লাখ সেচ্চাসেবী,হাজার হাজার সাইবার অপরাধী আজ নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে অসহায় মানুষের জন্য। তারা নানা ভাবে বড় করে তুলেছে উইকিলিকসকে,তারা বিশাল থেকে বিশালতর করছে উইকিলিকসের তথ্য ভান্ডার। হয়ত শুনে থাকবেন আমেরিকান নেী বাহিনীর একটি অফিসার(মেয়ে) উইকিলিকসের হয়ে কাজ করে তা সামনে গটে যাওয়া সবই রেকর্ড সহ দিয়েছে উইকিলিকসকে । তার জীবন বিপন্ন হবে তা ভাবে নি,কারন সে দেখেছে কিভাবে আমেরিকানরা উন্নয়ানশীল দেশ,মুসলমান দের প্রতি অন্যায় অবিচার করেছে।
আমেরিকান রা যেমন সবচেয়ে নিকৃষ্ঠ শুকর খেতে আনন্দ পায় ঠিক তেমনি তারা জগন্যতম কাজ করেও আনন্দ পায়।
আমেরিকানরা যেখানেই মুসলমানদের সুভাস পায় সেখানেই রটিয়ে দেয় মাদকের উন্মাদনা, ছড়িয়ে দেয় নিজের লালিত সন্ত্রাসী আর যাদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে নতুন নতুন কৌশলে কোন না কোন রাস্ট্র দখল করে নিচ্ছে।
ইরাকে কত সাধারন মানুষ হত্যা করেছে তার সঠিক হিসেব কারো জানা নেই, শুধুমাত্র খনিজ সম্পদের লোভেই এতটা জগন্যতম কাজ।
তাই আসুন নিজেরা একা যে অস্ত্র তৈরী করতে পারছি না, সবাই মিলে চলুন না সেই বোমাটি দিনে দিনে বড় করে তুলি, আরো বোমারু জোগাড় করি।

নিচের ভিডিও দেখুন:

একনজরে উইকিলিকস:-

  • WikiLeaks
  • Commercial? - No, ইহা ননপ্রফিট
  • Type of site: Document archive & disclosure
  • Created by: Julian Assange
  • Launched: 4 October 2006
  • Current status: Active
  • উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জে
  • জুলিয়ান পল অ্যাসাঞ্জ
  • জন্ম: ৩ জুলাই ১৯৭১
  • তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান কম্পিউটার প্রোগ্রামার।
  • তিনি রাজনৈতিক / ইন্টারনেট কর্মী, প্রকাশক, এবং সাংবাদিক.

পুরস্কার :


  • ইকোনোমিষ্ট ফ্রিডম অবএক্সপ্রেশন এওয়ার্ড (২০০৮)
  • এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউকেমিডিয়া পুরস্কার (২০০৯)
  • স্যাম এডাম্স পুরস্কার (২০১০)
  • লি মনডে,বছরের সেরা শৌখিন ব্যক্তি পুরস্কার(২০১০)
  • সিডনি শান্তি ফাউন্ডেশন স্বর্ণ পদক (২০১১)
  • মার্থা গেলহর্নপুরস্কার সাংবাদিকতা জন্য (২০১১)
  • অসামরিক জন্য ভিক্টোরিয়ান কাউন্সিল (২০১১) এর ভোল্টেয়ার পুরস্কার
  • সাংবাদিকতা থেকে বিশিষ্ট অবদান (২০১১) জন্য ওয়ালকিসপুরস্কার

পরিপূর্ণ স্বচ্ছতার পক্ষে লড়াকু সাইবার-যোদ্ধা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে শেষ করে দিতেই আমেরিকান রা লেগেছে তার পিছে, ছাড়ছে না কোনমতে,তাইতো আজ থেকে ২ বছর আগে তার বিরুদ্ধে আনা হয় কয়েকটি অভিযোগ,যেমন:যৌন অসদাচরণ
আমি বুক হাত দিয়ে বলতে পারি এটি মিথ্যা,বোনোয়াট।

দুই সাবেক ভক্ত তরুণীর দায়ের করা মামলায় সুইডিশ প্রসিকিউটর অফিস ২০১০ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। অ্যাসাঞ্জ তখন লন্ডনে, ব্রিটিশ পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। অ্যাসাঞ্জ লুকিয়ে থাকতে বেশ পারঙ্গম। শেষে ইন্টারপোলের ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়ান্টেড লিস্টে’ প্রচার করা হয় তাঁর নাম: আন্তর্জাতিক হুলিয়া। অ্যাসাঞ্জ তখনো পলাতক। কারণ, তাঁর বিশ্বাস, যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আসলে অজুহাত। সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে পেতে চায় আমেরিকার হাতে তুলে দিতে। কারণ, আমেরিকানদের কাছে তিনি তত দিনে হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যক্তি। ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের বর্বরতার প্রত্যক্ষ বিবরণ-সংবলিত যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পাঠানো ‘ফিল্ড রিপোর্ট’ আর সারা বিশ্বের মার্কিন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোর গোপন তারবার্তা—সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ গোপন নথিপত্র—উইকিলিকসের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ফাঁস করে দিয়ে অ্যাসাঞ্জ পরিণত হয়েছেন আমেরিকার এক নম্বর শত্রুতে। তাই, তাঁর ধারণা, আমেরিকা সুইডেনকে দিয়ে তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে যাবে; মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তি-সংক্রান্ত আইনের আওতায় বিচার করবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
এক কথায় এখন একমাত্র আন্দোলন,করেই নয় আমেরিকানদের উপর চাপ সৃষ্টি করা চাড়া আমাদের এই হিরোকে বাচানো সম্ভব নয়।
২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জ তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের এক থানায় যান পুলিশের প্রশ্নের জবাব দিতে। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এক ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট নামঞ্জুর করেন। তার পরের ১০ দিন অ্যাসাঞ্জকে কাটাতে হয় দাগি কয়েদির পোশাক পরে লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ কারাগারে। ১৭ ডিসেম্বর তাঁকে এমন শর্তে জামিন দেওয়া হয়, তিনি লন্ডনের আশপাশেই থাকবেন, প্রতিদিন নিকটস্থ থানায় সশরীরে গিয়ে খাতায় সই করে আসবেন। তাঁর পায়ের গোড়ালিতে সব সময় বাঁধা থাকবে একটা ইলেকট্রনিক ট্যাগ। সেই থেকে আজ প্রায় ১৮ মাস জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এক অদ্ভুত গৃহবন্দী, যাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে ব্রিটেন, সুইডেন ও আমেরিকা। এমনকি তাঁর স্বদেশ অস্ট্রেলিয়ার সরকারও ওই তিনটি দেশের সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
আমেরিকান রা যেমন ছাড়ে নি, সাদ্দাম হোসেন,গাদ্দাপি কে ,ঠিক যানি না এই মহান মানুষটিকেও ছাড়বে কিনা।

fig: এভাবে আমেরিকান রা মানুষ মেরে টিভিতে প্রকাশ করতো আত্বঘাতি বোমা/রাস্তায় পুতে রাখা বোমায় মারা গেছেন বলতেন

কিভাবে অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস এই পরিচিত মুখ হয়েছেন ?


আফগানিস্তানে আফগান যুদ্ধের সূচি,আফগানিস্তানে যুদ্ধের পূর্বে প্রচার না হওয়া ৭৬,৯০০ নথির একটি সংকলন প্রকাশ করে
অক্টোবর ২০১০সালে-প্রায় ৪০০,০০০ নথির একটি প্যাকেজ সমন্বয়ে ইরাক যুদ্ধের একটি পরিপূর্ণ খসড়া প্রকাশ করে।
এপ্রিল ২০১১সালে, আফগানিস্তানের৭৭৯ টি গোপন সম্পর্কিত,গুয়াতানামো শিবিরে আটক বন্দীদের ফাইল প্রকাশ করে হইচই এন দেয় এই অ্যাসাঞ্জ।
তারপর থেকেই এক এক আরো কিছু দেশের গোপন নথি প্রকাশ করে উইকিলিকস তাইতো পুথিবীর সকল প্রভাবশালী দেশগুলো আজ উইকিলিকস কে শেষ করতে লেগেছে।
What’s the difference between Facebook’s Mark Zuckerberg, and Wikileaks’ Julian Assange? This image says it all:

আরো জনাতে চোখ রাখুন:

আসুন উইকিলিকসকে সাহায্যে করি

উইকিলিকসের একজন ভলেনটিয়ার হই,উইকিলিকসয়ের জন্য সামান্য ডোনেট করি।
উইকিলিকসকে গোপন তথ্য দিয়ে উইকিলিকসয়ের ভান্ডার বড় করুন।
আপনার বন্ধুকেও আহব্বান জানান উইকিলিকসয়ের ভলেনটিয়ার হতে,তবেই তো আসবে মুক্তি।
অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস কে সাপোর্ট দিতে সোস্যাল প্রোফাইলে নিচের ছবিটি ইউজ করুন।

এই লেখাটি সবাই ফেইসবুক,ডিগ,টুইটারে সবার সাথে শেয়ার করুন।সাংবাদিক রা এটি প্রকাশ করুন,ব্লগে ব্লগে এই মেসেজ ছড়িয়ে দিন।

আসুন যে যেখানে পারি অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকস কে বাচাতে আন্দোল করি,ব্যানার নিয়ে পথে নামি আর অ্যাসাঞ্জ ও উইকিলিকসকে সম্রদ্ধ করি


অল্প পরিমান লেখা প্রথম আলোর একটি নিউজ থেকে নেয়া হেয়ছে, ইউকিপিডিয়া এবং উইকিলিকস থেকে তথ্য কালেকশন করা হয়েছে,সকল ছবি গুগল থেকে।
আসুন এবার হিরোর বন্ধু হই
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের হয়ে বার্তাটি ছড়িয়ে দিতে পেরে আমি আনন্দিত.................

how to remove sortcut from pc

কেমন আছেন সবাই? আশা করি অনেক ভাল। সর্টকাট ভাইরাস কম্পিউটারটাকে জাহান্মাম করে দিয়েছে? যদি উত্তর হ্যা হয় তবে চলুন  ঐ সর্টকাট ভাইরাসের পিছুয়ারাতে জাহান্মামের আগুন দেই । হ্যা ভাই আমার কম্পিউটার ও এমন হয়েছিল কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে নতুন করে Windowes Setup না করে সর্টকাট ভাইরাসের পিছুয়ারাতে জাহান্মামের আগুন লাগাব। তো শুরু করা যাকঃ
১। .link মানে C Drive বাদে যে কোন Drive এ সার্চ করুন যেই Drive এ আপেক্ষাকৃত কম folder আছে।
২। এবার সবার নিছে লক্ষ করুন আপনার Real Folder গুল ছাড়া ও ২ থেকে ৩ টি অন্য  সর্টকাট আসেছে সেগুলর যেকন একটি উপর রাইট বাটন ক্লিক করে Folder Location বের করুন দেখেন আপনাকে C Drive এ Location দেখিয়েছে।
৩। এবার আমরা অনেকেই Unloker ব্যবহার করি বা করেছি এবং জানি এটার কাজ কি। যারা জানেন না তাদের জন্য বলি Unloker Runing Program কে Delete, Move এবং Rename করতে পারে। তাই ঐ Location দেখুন ঐ সর্টকাট গুলোর Main File গুল আছে সেগুলো এমনিতে আপনি Delete করতে পারবেন না কারন সেই Program টি আপনার কম্পিউটারে  Runing আছে এমন কি  Unloker দিয়ে ও না।
৪। এবার Unloker সেটাপ দিয়ে ঐ ফাইল গুল অন্য যে কনো নামে Rename করে দিন।তবে Remane  গুলো মনে রাখবেন।
৫। .link লিখে C Drive বাদে  সকল Drive এ সার্চ করুন এবং সার্চ করে আনা সকল সর্টকাট গুল কে Delete করে দিন।  এবং কম্পিউটার রিস্টার্ট দিন চালু হলে C Drive যে সকল ফাইল গুল অন্য যে কনো নামে Rename করেছিলেন টা লিখে  সার্চ করুন এবার ঐ ফাইল গুল এবার Unloker দিয়ে Delete দিন কাজ ok.

Unloker: Download

সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

স্কুল জীবন গানের লিরিক্স

শিরোনামঃ স্কুল জীবন
 
শিল্পীঃ আইয়ুব বাচ্চু
কথাঃ সাজ্জাদ হুসাইন
এ্যালবামঃ রিমঝিম বৃষ্টি
[সূর ও সঙ্গীতঃ আইয়ুব বাচ্চু ]
-----------------------------------

প্রাইমারী শেষে আমরা সবে…উঠেছি হাই স্কুলে,
পৃথিবীকে দিলাম এই সংবাদ…..দুনিয়া মাথায় তুলে।
হট্টগোল আর উল্লাশ দেখে….লোকে চায় বাঁকা চোখে,
কে আছে তখন জগতে এমন…আমাদের গতি রুখে।
বড় হয়ে গেছি আমরা সবাই….এই ভাবনাতে ডুবে।
উত্তর থেকে দক্ষিণে যাই...পশ্চিম থেকে পূবে।
সব বন্ধুর একরঙা মন….সবাই এক দলে।
লোকে আমাদের এক নামে চেনে..বিচ্ছু বাহিনী বলে।
আমার ছিল রোল নং দুই….সুনীল আমার পরে।
পড়া না পারার অপরাধে সিধু…..দুটি কান রয় ধরে।
সুনীলের সেই একরোখা জেদ….রোল নাম্বার নিয়ে।
ওর প্রার্থনা সামনে যাবেই….আমাকে টপকে গিয়ে।
বীরবল ছিল ক্লাস ক্যাপ্টেন….জোর নেই মোটে গায়ে।
বিপদ এড়িয়ে চলে প্রতিদিন…..গুটিসুটি দুটি পায়ে।
রোহিতের বুকে ক্রিকেট নিয়ে…..আকাশ সমান আশা,
কথায় কথায় ওর মুখে…..শত ধারাভাষ্যের ভাষা।
ঘুমের ঘোরে হাউ ইস দেট বলে…..চিৎকার করে ওঠে।
ক্রিকেট ম্যাচের গন্ধ পেলে ….দৌড়ে সেখানে ছোটে।
অভিক বড় অভিমানী হয়ে….পড়ে কবিতার প্রেমে,
সপ্নক্ষুধায় দু চোখ লুকানো….চশমার কালো ফ্রেমে।
আড্ডা পেলে সব ভুলে যেত…..ডানপিটে হিমালয়।
ওর আগে কেউ আসর জমাবে….তা কভু হবার নয়।
তুর্য থাকতো সব কিছুতেই…যথারীতি সবার শেষে।
রাজ্যটাকে জয় করে নিত…..নিষ্পাপ হাসি হেঁসে।
আড্ডা গানে কখন কিভাবে // কেটে গেলো দিনগুলো।
বুঝতে পারিনি সময় এভাবে // ওড়াবে সৃতির ধুলো।
ক্লাস টেনে উঠে বন্ধুরা সব // হয়ে যায় ছাড়া ছাড়া।
জীবনের কি লক্ষ হবে // তাই ভেবে দিশেহারা।
আগের মত দেখা হয়না // আড্ডা জমেনা তেমন।
কখনো ভাবি এইতো নিয়ম…..জীবনটা বুঝি এমন।
দূর থেকে আরও দূরে সরে যাই…ম্যাট্রিক পাস করে।
ঠিক ঠিকই আমি কলেজে উঠেছি….শিবু রয় স্কুলে পড়ে।
স্কুলে সবাই শিবুকে নাকি …আধু ভাই বলে ডাকে।
জীবনের খোঁজে ঢাকায় হিমালয় // মেস ভাড়া করে থাকে।
তুর্য রাজ আজ রাজনীতি করে // মিছিলে হারিয়ে গেছে।
রোহিত রয়েছে গোপনে গোপনে // স্বপ্নের সাথে বেঁচে।
ক্রিকেটে ভালো নামডাক ওর // ফার্স্ট ডিভিশনে খেলে।
নারীর পিছনে ছোটে সেই অভিক // সমাজকে পিছু ফেলে।
কোন সে প্রেমের ছলনাতে ডুবে // সবকিছু এলোমেলো।
ক্লাস ক্যাপ্টেন বীরবলটাও // অকালে হারিয়ে গেলো।
ছোটবেলা থেকে অজানা // অসুখে ভুগে ভুগে শেষ বেলা,
একদিন ঠিক শেষ হল // সব দেনা পাওনার খেলা।
ও একা না হয় ওপাড়ে গিয়েছে // বাকিরা তো বেঁচে আছে।
ওরা সবাই দৃষ্টির আড়াল // নেই আর চোখের কাছে।
ওদের মন নিশ্চই আজো // কোন অবসরে কাঁদে।
সবার একই অপরাধ বোধ // যেন একই অপরাধে।
‘’ সেই ভালো ছিল জীবন নিয়ে ...ভাবনা ছিল না কোন।
বন্ধুত্তের কিছু দাবী মনে... রয়ে যায় এখনো ‘’ ●●●

জেমসের আজকের জেমস হয়ে ওঠার গল্প


পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। ছোট থেকেই হয়তো বাউন্ডেলে পেয়ে বসেছিল তাকে। উত্তরবঙ্গের এই ছেলে নওগাঁর পত্নীতলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরিজীবি, সেই সুত্রে ছোট বেলা থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বাবার সাথেই ঘুরে বেড়াতে হত । বাবা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান হলেন আর তাকেও থাকতে হলো চট্টগ্রামে সেখান থেকে মাথায় উঁকি দিলো নতুন পাগলামী। আর এই পাগলামীই আজ তাকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরেছে

সংগীত নিয়ে পাগলামী যথারীতি শুরু হলো । মন কোনদিকেই নেই সারাদিন আর হুল্লোড়। নাইনে পড়া অবস্থায় তার বাবা যখন বুঝলো ছেলের দ্বারা পড়াশোনা সম্ভব নয় তখন ঘর থেকে তাকে বের করে দেয়া হলো । ঠাই হলো চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং এ । আর এই আজিজ বোর্ডিং হয়ে উঠে তার গানের জগত। আজিজ বোর্ডিং জেমসের জীবনে বিশাল স্মৃতিময় রেখা আলোকপাত করে গেছে। যার কারনে জেমস এখনো স্মৃতিকাতর হন তার অতীতের সে সময়কে নিয়ে।


আসিফ ইকবালের লেখা 'অনন্যা' জেমসের প্রথম একক এলবাম। যেটা বের হয় ১৯৮৭ সালে। যার প্রতিটি গানই অসাধরণ। বিশেষ করে 'অনন্যা' কিংবা 'ওই দূর পাহাড়ে' গানগুলো বুকের মাঝে সত্যিই কাঁপন জাগায়। তবে এই গান শুনে কারো পক্ষে ধারনা করা সম্ভব হবে না যে গানটি জেমস গাইছেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'ফিলিংস' এ যোগ দেন। 'ফিলিংস'এর ভোকাল ছিলেন আরেক অসাধারণ প্রতিভাধর কন্ঠের অধিকারী পাবলো । সে সময় ঘর ছাড়া জেমস ও' ফিলিংস' ব্যান্ড যাদের অনুশীলন থেকে শুরু করে থাকা ,খাওয়া সব হতো সেই “আজিজ বোর্ডিং” এর এক কামরায়। সেই কামরায় তাঁদের কত বিনিদ্র রাত কেটেছে শুধু গান তৈরির নেশায়।



১৯৮৯ সালে বের হয় ফিলিংস এর ব্যানারে প্রথম অ্যালবাম 'স্টেশন রোড'। 'ঝর্না থেকে নদী' , 'স্টেশন রোড' অপুর্ব গানগুলোর মাঝে যেখানে জেমস এর নীরব হাহাকার, প্রেমের আকুতি,অন্যায়ের প্রতিবাদ সব কিছু ফুটে উঠেছে । ৯২ সালে জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী রথি কে বিয়ে করেন এবং ২০০১ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় পরবর্তীকে বেনজীর কে বিয়ে করেন। 'জেল থেকে বলছি' নিয়ে আসা জেমস ও ফিলিংস আবার ঝলসানি দিয়ে ওঠে। সেটা ১৯৯৩ সাল। আবার জানান দেন জেমস আছে।



অডিও বাজারে বড় ধরনের একটা ঝাকুনি দিয়ে 'জেল থেকে বলছি' নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের নিকট ভ্যারিয়েশন ইমেজ তৈরী করে ফেলে। এই সময়টাকে অডিওবাজারের চরম সফল যুগ বলা হয়। সঙ্গীতবোদ্ধারা তাই বলে কেননা একই সাথে শীর্ষ আরো দুই শিল্পীর গান তখন দেশ মাতিয়ে রেখেছে। “জেল থেকে বলছি’ এক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর করুন অনুভুতি ও আর্তনাদ জেমসকে নন মেটালিক আবেগী ধারার গায়ক হিসেবে পরিচিতি পেতে সহায়তা করে। ১৯৯৫ সালে জেমসের দ্বিতীয় একক বের হয় । 'পালাবে কোথায়' এলবামের প্রিয় আকাশী গানটি দিয়ে জেমস কে আরো রহস্যময় করে তোলে।
আমার আকাশী
ফ্রান্কফুটের বইমেলায়
নতুন বইয়ের গন্ধে মনে পড়েছে তোমায়
ফ্লোরেন্সে সিসটাইন চ্যাপেলের-
মিকেলাঞ্জেলোর
মহান সৃষ্টির -’পিয়েতা’র সামনে দাঁড়িয়ে
তোমাকে মনে পড়েছে



সেই বছরে প্রিন্স মাহমুদের প্রথম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম 'শক্তি' তে দুটি গান করেন। জেমস বাংলা ব্যান্ড জগতে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই জেমস এক উন্মাদনার নাম হয়ে ওঠে। কনসার্টে উন্মাদনা শুরু জেমস থেকেই। জেমস যখন দেশের সঙ্গীতবাজারে আলোচিত নাম সেই সময় তার ভয়াবহ কিছু সমালোচক তৈরি হয়। বিরোধীতা করতে শুরু করে জেমসের গায়কীর ধরনকে। ৯৬ সালে সেই সব সমালোচকদের মুখে ছুঁড়ে মারেন 'মান্নান মিয়ার তিতাস মলম' অথবা কবি শামসুর রাহমানের 'সুন্দরীতমা আমার'। সুন্দরীতমা গানটি কবি শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে করা গান যা জেমস অনুমতি নিয়ে করেন। 'আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো' তখন পাড়া মহল্লায় বড় ছোট সকলের মুখে।


জেমস যে শুধু জেমস এই দুর্লভ সত্য প্রতিষ্ঠিত করেন 'দুঃখিনী দুঃখ করোনা' । এই এলবাম এতটাই শ্রোতাপ্রিয়তা পায় যে ব্যান্ড বলতে যাদের নাক ছিটকে যেত সেই মুরব্বীরাও মনোযোগ দিয়ে শুনলেন দুঃখিনী দুঃখ করোনা। প্রেমিক প্রেমিকাদের মনে জেমস স্থান করে নেয়, স্থান করে নেয় পাড়ার রকের আড্ডাবাজদের মনে। অনেকেই বলেন এই এলবামের 'যদি কখনও ভুল হয়ে যায়' গানটি জেমস এর সর্বকালের সেরা একটি গান কেননা এই গানে জেমস এর আবেগ এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে কোন মানুষ এর চোখে জল আনতে বাধ্য করতো।

লেইস ফিতা লেইস অ্যালবামটি ব্যানারে সর্বশেষ এলবাম । এই এলবামের 'সিনায় সিনায় লাগে টান' গানটা শ্রোতাদের হৃদয়ের খুব গভীরে পৌঁছেছে। সেই সময়ের সেরা সব গীতিকার- লতিফুল ইসলাম শিবলি,বাপ্পি খান,দেহলভি, আনন্দ,তরুন, মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ, প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবুদের জেমস এর জন্য আলাদা ভাবে গান লিখতে হত। কেননা জেমসের গানট শুধুমাত্র সুর নির্ভর নয় তারচেয়ে বহুগুন বেশি কথা নির্ভর।


জেমসের কিছু গান যেগুলো না উল্লেখ করলেই নয়। প্রিন্স মাহমুদের সুর ও সঙ্গীতের মিক্সড অ্যালবাম এর 'বাংলাদেশ' (পিয়ানো), তাজমহল গড় (পিয়ানো), 'জানালা ভরা আকাশ' (শক্তি), 'আমি ও আঁধার' (শক্তি),'শেষ দেখা ' (শেষ দেখা), 'মা' (এখনও দু চোখে বন্যা), 'ফুল নিবে না অস্রু নিবে' (দেয়াল), 'মন আমার পাথরের দেয়াল তো নয়' (দেয়াল), 'কিছু ভুল ছিল তোমার" ( দাগ থেকে যায়)' নিষ্পাপ আমি' (স্রোত), স্যার (দীর্ঘশ্বাস) আত্মহত্যা পাপ (যন্ত্রনা), দহন এলবাম । জুয়েল বাবুর সুর ও সঙ্গীতে 'ওরে দেখে যারে তুই' (মেয়ে), 'পদ্ম পাতার জল' (ও আমার প্রেম), 'আরও কিছুক্ষণ রবে কি বন্ধু' (নিরবতা), সাদা কালো (নীরবতা), 'কিছুটা আশা তুমি রেখো” (নীরবতা), 'বর্ষা আমার চোখের প্রিয় ঋতু (সন্ধি), 'যত দূরে যাও বন্ধু আমার' (তারকা মেলা), লাকি আখন্দ এর সুর ও সঙ্গীতে 'লিখতে পারি না কোন গান' (বিতৃষ্ণা জীবনে আমার),'ভালবেসে চলে যেও না' (বিতৃষ্ণা জীবনে আমার), শফিক তুহিনের সুর ও কথায় শুন্য করে বুক, বৈশাখী ঝড়ে (সারেগামা) সহ আরও অনেক অনবদ্য অসাধারণ সব গান আজো সে যুগের এবং এ যুগের শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরে।

লতিফুল ইসলাম শিবলি,বাপ্পি খান, আসাদ দেহলভি, আনন্দ, তরুন, মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ লায়ন, প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবু জেমস এর জন্য আলাদা ভাবে গান লিখতেন। যে গানের কথাগুলো ছিল একটার চেয়ে আরেকটা অসাধারণ সব কথায় ভরপুর যা একবার শুনে মন ভরতো না। আসাদ দেহলভীর সাথে সম্পর্কের টানাপড়েন পরে বিচ্ছেদ এই অভাব বুঝতে দেননি প্রিন্স মাহমুদ। আফসোসের ব্যাপার গোলাম মোরশেদ লায়ন এখন সঙ্গীত থেকেই দূরে।

'জেমস' বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশেরও একটি প্রিয় গায়ক রুপে পরিচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে ভারতের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় প্রযোজক, পরিচালক মহেশ ভাট এর 'গ্যাংস্টার' ছবিতে 'ভিগি ভিগি' গান দিয়ে হয়েছেন ভারতের কোটি জনতার প্রিয় শিল্পী। এরপর একই প্রযোজকের 'ওহ লামহে' 'মেট্রো' ছবিতেও কণ্ঠ দিয়ে চমকে দিয়েছেন পুরো ভারতকে। সর্বশেষ ওয়ার্নিং সিনেমায় টাইটেল সং 'বেভাসি' ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার সাথে নিজের জনপ্রিয়তাকেও উর্ধ্বমুখি করছেন।

হিন্দি ছবির প্লে-ব্যাকে ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবার জেমস ফিরছেন হিন্দি অডিও এ্যালবামের মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে মুম্বাই স্টুডিওতে রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের জনপ্রিয় গানগুলোর হিন্দি ভার্সন, যা অনেক দিন ধরেই করার কথা চলছিল। যে গানের তালিকায় থাকছে মা, মীরা বাই, তেরো নদী সাত সমুদ্দুর, দুখিনির দুঃখ, যেদিন বন্ধু, জেল থেকে বলছিসহ জনপ্রিয় ১০টি গান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্টে সনি এন্টারটেইনমেন্ট থেকে এ এ্যালবামটি প্রকাশের পূর্ণ সম্ভাবনার কথা জানান আত্মকেন্দ্রিক মৃদুভাষী জেমস।

রেদওয়ান রনি

রেদওয়ান রনি
 বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক নির্মাতা।তিনি নাটক এবং ছায়াছবি নির্মান করেন। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র চোরাবালি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর[২]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করার পর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

ব্যাক্তিগত জীবন

রেদওয়ান রনি ২১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আয়েশা প্রেমা।

কর্মজীবন

রেদওয়ান রনি নিয়মিত ভাবে নির্মান করছেন নাটক, ছায়াছবি। এককভাবে তাঁর প্রথম কাজ টেলিফিল্ম ‘ উড়োজাহাজ’। এটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১১ সালে নির্মাণ শুরু করেন তাঁর প্রথম পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চোরাবালি। অপরাধ থ্রিলার ধারার এই চলচ্চিত্রটি ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর, দর্শক মহলে দারুন সাড়া ফেলে এটি। কিন্তু, কয়েকটি বিষয় ও দৃশ্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয়। এমনকি শেষ দৃশ্যে পুরনো দিনের চলচ্চিত্রের একঘেয়েমীর সমালোচনার ফলে তিনি সেই দৃশ্যটি বাদ দিয়ে নতুন দৃশ্য সংযোজন করে পুনরায় মুক্তি দেন।

উল্লেখযোগ্য নাটক

  • হাউসফুল
  • এফএনএফ
  • রেডিও চকলেট

উল্লেখযোগ্য ছায়াছবি

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আমির খানের অজানা নয়



আমির খানের অজানা নয়

 
আমির খান

আমির খান

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে তার পরিচয় মি: পার্ফেক্টসনিস্ট নামে। গজনি, মঙ্গল পান্ডে, থ্রি ইডিয়টস, রাঙ্গ দে বাসন্তিসহ বিভিন্ন সুপারহিট সিনেমায় দর্শক তাকে দেখেছে বিভিন্ন রূপে। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বলিউডে তিনি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছেন। হ্যাঁ, বলছি বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা আমির খান সম্পর্কে। এ অভিনেতার অজানা কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।


১. খেলোয়াড় আমির : আমির মূলত অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু অভিনয় ছাড়াও তার রয়েছে আরও একটি গুণ। ভালো ব্যাডমিন্টন খেলেন এ অভিনেতা। বাড়ন্ত বয়সে খেলাধুলার সঙ্গে বেশ যুক্ত ছিলেন আমির। মহারাষ্ট্র টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।



২. গোসল করতে চান না আমির : এ তারকার আরও একটি তথ্য যা জেনে অবাক হবেন সবাই। তথ্যটি হচ্ছে গোসল করতে মোটেও পছন্দ করেন না আমির। গোলাম সিনেমায় তার চরিত্রটির জন্য অনেকদিন গোসল না করে থাকত হয়েছিল। আর সে কারণে নাকি বেজায় খুশি হয়েছিলেন তিনি। তার সহধর্মীনি কিরণ রাও টিভি শো কফি উইথ করণ-এ এসে এ আজব তথ্যটি দেন। ছুটির দিনে বাড়ি থেকে বেড় হতে না হলে নাকি গোসল থেকে বিরত থাকেন অমির।


৩. অভাবের মধ্যে বড় হয়েছেন : ছোটবেলায় প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে বড় হতে হয়েছে তারকাকে। কারণ তার বাবার সিনেমাগুলো তখন খুব একটা ব্যবসা করতে পারছিল না। কিন্তু আমিরের মাথায় চেপেছিল অভিনেতা হওয়ার ভূত। নির্বাক চলচ্চিত্র প্যারানয়িয়াতে নীনা গুপ্তার সঙ্গে অভিনয় করে সিনেমা জগতে পা রাখেন তিনি। তারপর তিনি যোগ দেন অবান্তর নামরে একটি থিয়েটার দলে। হাই স্কুলের পর আর পড়াশোনা হয়নি আমিরের। পড়াশোনা বাদ হওয়ার পর চাচা নাসির হোসাইনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবন পার করে প্রমাণ করেছেন অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিন ভুল করেননি তিনি। 



৪. মাদাম তুসোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন : বিশ্বের বড় বড় তারকা থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক তারকার মোমের মূর্তি স্থান পেয়েছে মাদাম তুসো জাদুঘরে। কিন্তু আমির তার মোমের মূর্তি বানানোর প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এ অভিনেতা বলেছিলেন, ‘এটি আমার কাছে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। দর্শকরা আমাকে সিনেমাতেই দেখবে। আর আমি একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে থাকতে চাই না। আমি কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি এতটুকুই যথেষ্ট।


৫. পছন্দের তারকা গোবিন্দ : বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে রয়েছেন আমির খান। কিন্তু এ তারকার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন কোন তারকারা আপনি কি জানেন? বলিউডে তার পছন্দের অভিনয় শিল্পী হলেন গোবিন্দ। এ অভিনেতার স্যান্ডউইচ সিনেমাটি বেশ কয়েকবার দেখেছেন আমির। অভিনেত্রীদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ওয়াহিদা রহমান এবং গীতা বালি। অন্যদিকে হলিউডে তার পছন্দ লিওনার্দ্যো ডিক্যাপ্রিও এবং ডেনিয়েল ডি লুইসকে।



৬. মোঘলাই খাবার খুব পছন্দের : খাবার ব্যাপারে খুব একটা বাছবিচার নেই এ বলিউড অভিনেতার। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার মোঘলাই খাবার তার খুব পছন্দের। বিরিয়ারি বাদশাহী,শাহী রোগান জোশ তার অন্যতম পছন্দের খাবার। এছাড়া মসলাযুক্ত সাদা ডিমের অমলেট এবং দম তার অনেক পছন্দ। খাবারের বিষয়টি যতই পছন্দ হোক না কেন নিজের শরীরের প্রতি অনেক সচেতন এ অভিনেতা।


৭. বিখ্যাত পরিবারে জন্ম আমিরের : পূর্বপুরুষ আবুল কালাম আজাদের মতো আমিরও পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। এ অভিনেতার পূর্বপুরুষ সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদকে স্মরণ করে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হয়। তার নাম অনুসারে নিজের ছেলের নাম আজাদ রাও রেখেছেন আমির।


৮. খুঁতখুঁতে আমির : প্রথম সিনেমা কেয়ামাত সে কেয়ামাত-এ তাক দিয়েই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আমির। কিন্তু তার পরবর্তী সিনেমা ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য সময় লেগেছিল দুই বছর। সেকারণে সিনেমা নির্বাচনে বেশ সচেতন হয়েছিলেন তিনি। শাহরুখ অভিনীত ডার ও স্বদেশ এবং সালমান খানের হাম আপকে হ্যায় কোন এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল আমিরের। কিন্তু তিনি সেগুলোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।


৯. মজারু আমির : সহ শিল্পীদের সঙ্গে মজা করার ব্যাপারটি আমিরের নতুন নয়। ইস্ক সিনেমায় অভিনয়ের সময় তার মজার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে সিনেমার সেট থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা।

অবশ্য পরের দিন ফিরে এসেছিলেন। যখন সেটে আসলেন দেখলেন গেটে দুটি টেডি বেয়ার এবং দুঃখিত লেখা। কিন্তু পরবর্তীতে জুহি জানতে পারেন সেগুলোও প্রোডাকশনের ছিল। তারপর বেশ কিছুদিন আমিরের সঙ্গে কথা বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। ছয় বছর পর আবার একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তারা।