সোমবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৫

স্কুল জীবন গানের লিরিক্স

শিরোনামঃ স্কুল জীবন
 
শিল্পীঃ আইয়ুব বাচ্চু
কথাঃ সাজ্জাদ হুসাইন
এ্যালবামঃ রিমঝিম বৃষ্টি
[সূর ও সঙ্গীতঃ আইয়ুব বাচ্চু ]
-----------------------------------

প্রাইমারী শেষে আমরা সবে…উঠেছি হাই স্কুলে,
পৃথিবীকে দিলাম এই সংবাদ…..দুনিয়া মাথায় তুলে।
হট্টগোল আর উল্লাশ দেখে….লোকে চায় বাঁকা চোখে,
কে আছে তখন জগতে এমন…আমাদের গতি রুখে।
বড় হয়ে গেছি আমরা সবাই….এই ভাবনাতে ডুবে।
উত্তর থেকে দক্ষিণে যাই...পশ্চিম থেকে পূবে।
সব বন্ধুর একরঙা মন….সবাই এক দলে।
লোকে আমাদের এক নামে চেনে..বিচ্ছু বাহিনী বলে।
আমার ছিল রোল নং দুই….সুনীল আমার পরে।
পড়া না পারার অপরাধে সিধু…..দুটি কান রয় ধরে।
সুনীলের সেই একরোখা জেদ….রোল নাম্বার নিয়ে।
ওর প্রার্থনা সামনে যাবেই….আমাকে টপকে গিয়ে।
বীরবল ছিল ক্লাস ক্যাপ্টেন….জোর নেই মোটে গায়ে।
বিপদ এড়িয়ে চলে প্রতিদিন…..গুটিসুটি দুটি পায়ে।
রোহিতের বুকে ক্রিকেট নিয়ে…..আকাশ সমান আশা,
কথায় কথায় ওর মুখে…..শত ধারাভাষ্যের ভাষা।
ঘুমের ঘোরে হাউ ইস দেট বলে…..চিৎকার করে ওঠে।
ক্রিকেট ম্যাচের গন্ধ পেলে ….দৌড়ে সেখানে ছোটে।
অভিক বড় অভিমানী হয়ে….পড়ে কবিতার প্রেমে,
সপ্নক্ষুধায় দু চোখ লুকানো….চশমার কালো ফ্রেমে।
আড্ডা পেলে সব ভুলে যেত…..ডানপিটে হিমালয়।
ওর আগে কেউ আসর জমাবে….তা কভু হবার নয়।
তুর্য থাকতো সব কিছুতেই…যথারীতি সবার শেষে।
রাজ্যটাকে জয় করে নিত…..নিষ্পাপ হাসি হেঁসে।
আড্ডা গানে কখন কিভাবে // কেটে গেলো দিনগুলো।
বুঝতে পারিনি সময় এভাবে // ওড়াবে সৃতির ধুলো।
ক্লাস টেনে উঠে বন্ধুরা সব // হয়ে যায় ছাড়া ছাড়া।
জীবনের কি লক্ষ হবে // তাই ভেবে দিশেহারা।
আগের মত দেখা হয়না // আড্ডা জমেনা তেমন।
কখনো ভাবি এইতো নিয়ম…..জীবনটা বুঝি এমন।
দূর থেকে আরও দূরে সরে যাই…ম্যাট্রিক পাস করে।
ঠিক ঠিকই আমি কলেজে উঠেছি….শিবু রয় স্কুলে পড়ে।
স্কুলে সবাই শিবুকে নাকি …আধু ভাই বলে ডাকে।
জীবনের খোঁজে ঢাকায় হিমালয় // মেস ভাড়া করে থাকে।
তুর্য রাজ আজ রাজনীতি করে // মিছিলে হারিয়ে গেছে।
রোহিত রয়েছে গোপনে গোপনে // স্বপ্নের সাথে বেঁচে।
ক্রিকেটে ভালো নামডাক ওর // ফার্স্ট ডিভিশনে খেলে।
নারীর পিছনে ছোটে সেই অভিক // সমাজকে পিছু ফেলে।
কোন সে প্রেমের ছলনাতে ডুবে // সবকিছু এলোমেলো।
ক্লাস ক্যাপ্টেন বীরবলটাও // অকালে হারিয়ে গেলো।
ছোটবেলা থেকে অজানা // অসুখে ভুগে ভুগে শেষ বেলা,
একদিন ঠিক শেষ হল // সব দেনা পাওনার খেলা।
ও একা না হয় ওপাড়ে গিয়েছে // বাকিরা তো বেঁচে আছে।
ওরা সবাই দৃষ্টির আড়াল // নেই আর চোখের কাছে।
ওদের মন নিশ্চই আজো // কোন অবসরে কাঁদে।
সবার একই অপরাধ বোধ // যেন একই অপরাধে।
‘’ সেই ভালো ছিল জীবন নিয়ে ...ভাবনা ছিল না কোন।
বন্ধুত্তের কিছু দাবী মনে... রয়ে যায় এখনো ‘’ ●●●

জেমসের আজকের জেমস হয়ে ওঠার গল্প


পুরো নাম ফারুক মাহফুজ আনাম জেমস। ছোট থেকেই হয়তো বাউন্ডেলে পেয়ে বসেছিল তাকে। উত্তরবঙ্গের এই ছেলে নওগাঁর পত্নীতলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন সরকারি চাকুরিজীবি, সেই সুত্রে ছোট বেলা থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বাবার সাথেই ঘুরে বেড়াতে হত । বাবা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারমান হলেন আর তাকেও থাকতে হলো চট্টগ্রামে সেখান থেকে মাথায় উঁকি দিলো নতুন পাগলামী। আর এই পাগলামীই আজ তাকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরেছে

সংগীত নিয়ে পাগলামী যথারীতি শুরু হলো । মন কোনদিকেই নেই সারাদিন আর হুল্লোড়। নাইনে পড়া অবস্থায় তার বাবা যখন বুঝলো ছেলের দ্বারা পড়াশোনা সম্ভব নয় তখন ঘর থেকে তাকে বের করে দেয়া হলো । ঠাই হলো চট্টগ্রামের আজিজ বোর্ডিং এ । আর এই আজিজ বোর্ডিং হয়ে উঠে তার গানের জগত। আজিজ বোর্ডিং জেমসের জীবনে বিশাল স্মৃতিময় রেখা আলোকপাত করে গেছে। যার কারনে জেমস এখনো স্মৃতিকাতর হন তার অতীতের সে সময়কে নিয়ে।


আসিফ ইকবালের লেখা 'অনন্যা' জেমসের প্রথম একক এলবাম। যেটা বের হয় ১৯৮৭ সালে। যার প্রতিটি গানই অসাধরণ। বিশেষ করে 'অনন্যা' কিংবা 'ওই দূর পাহাড়ে' গানগুলো বুকের মাঝে সত্যিই কাঁপন জাগায়। তবে এই গান শুনে কারো পক্ষে ধারনা করা সম্ভব হবে না যে গানটি জেমস গাইছেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ব্যান্ড 'ফিলিংস' এ যোগ দেন। 'ফিলিংস'এর ভোকাল ছিলেন আরেক অসাধারণ প্রতিভাধর কন্ঠের অধিকারী পাবলো । সে সময় ঘর ছাড়া জেমস ও' ফিলিংস' ব্যান্ড যাদের অনুশীলন থেকে শুরু করে থাকা ,খাওয়া সব হতো সেই “আজিজ বোর্ডিং” এর এক কামরায়। সেই কামরায় তাঁদের কত বিনিদ্র রাত কেটেছে শুধু গান তৈরির নেশায়।



১৯৮৯ সালে বের হয় ফিলিংস এর ব্যানারে প্রথম অ্যালবাম 'স্টেশন রোড'। 'ঝর্না থেকে নদী' , 'স্টেশন রোড' অপুর্ব গানগুলোর মাঝে যেখানে জেমস এর নীরব হাহাকার, প্রেমের আকুতি,অন্যায়ের প্রতিবাদ সব কিছু ফুটে উঠেছে । ৯২ সালে জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী রথি কে বিয়ে করেন এবং ২০০১ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় পরবর্তীকে বেনজীর কে বিয়ে করেন। 'জেল থেকে বলছি' নিয়ে আসা জেমস ও ফিলিংস আবার ঝলসানি দিয়ে ওঠে। সেটা ১৯৯৩ সাল। আবার জানান দেন জেমস আছে।



অডিও বাজারে বড় ধরনের একটা ঝাকুনি দিয়ে 'জেল থেকে বলছি' নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের নিকট ভ্যারিয়েশন ইমেজ তৈরী করে ফেলে। এই সময়টাকে অডিওবাজারের চরম সফল যুগ বলা হয়। সঙ্গীতবোদ্ধারা তাই বলে কেননা একই সাথে শীর্ষ আরো দুই শিল্পীর গান তখন দেশ মাতিয়ে রেখেছে। “জেল থেকে বলছি’ এক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীর করুন অনুভুতি ও আর্তনাদ জেমসকে নন মেটালিক আবেগী ধারার গায়ক হিসেবে পরিচিতি পেতে সহায়তা করে। ১৯৯৫ সালে জেমসের দ্বিতীয় একক বের হয় । 'পালাবে কোথায়' এলবামের প্রিয় আকাশী গানটি দিয়ে জেমস কে আরো রহস্যময় করে তোলে।
আমার আকাশী
ফ্রান্কফুটের বইমেলায়
নতুন বইয়ের গন্ধে মনে পড়েছে তোমায়
ফ্লোরেন্সে সিসটাইন চ্যাপেলের-
মিকেলাঞ্জেলোর
মহান সৃষ্টির -’পিয়েতা’র সামনে দাঁড়িয়ে
তোমাকে মনে পড়েছে



সেই বছরে প্রিন্স মাহমুদের প্রথম ব্যান্ড মিক্সড অ্যালবাম 'শক্তি' তে দুটি গান করেন। জেমস বাংলা ব্যান্ড জগতে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই জেমস এক উন্মাদনার নাম হয়ে ওঠে। কনসার্টে উন্মাদনা শুরু জেমস থেকেই। জেমস যখন দেশের সঙ্গীতবাজারে আলোচিত নাম সেই সময় তার ভয়াবহ কিছু সমালোচক তৈরি হয়। বিরোধীতা করতে শুরু করে জেমসের গায়কীর ধরনকে। ৯৬ সালে সেই সব সমালোচকদের মুখে ছুঁড়ে মারেন 'মান্নান মিয়ার তিতাস মলম' অথবা কবি শামসুর রাহমানের 'সুন্দরীতমা আমার'। সুন্দরীতমা গানটি কবি শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে করা গান যা জেমস অনুমতি নিয়ে করেন। 'আমি তারায় তারায় রটিয়ে দেবো' তখন পাড়া মহল্লায় বড় ছোট সকলের মুখে।


জেমস যে শুধু জেমস এই দুর্লভ সত্য প্রতিষ্ঠিত করেন 'দুঃখিনী দুঃখ করোনা' । এই এলবাম এতটাই শ্রোতাপ্রিয়তা পায় যে ব্যান্ড বলতে যাদের নাক ছিটকে যেত সেই মুরব্বীরাও মনোযোগ দিয়ে শুনলেন দুঃখিনী দুঃখ করোনা। প্রেমিক প্রেমিকাদের মনে জেমস স্থান করে নেয়, স্থান করে নেয় পাড়ার রকের আড্ডাবাজদের মনে। অনেকেই বলেন এই এলবামের 'যদি কখনও ভুল হয়ে যায়' গানটি জেমস এর সর্বকালের সেরা একটি গান কেননা এই গানে জেমস এর আবেগ এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে কোন মানুষ এর চোখে জল আনতে বাধ্য করতো।

লেইস ফিতা লেইস অ্যালবামটি ব্যানারে সর্বশেষ এলবাম । এই এলবামের 'সিনায় সিনায় লাগে টান' গানটা শ্রোতাদের হৃদয়ের খুব গভীরে পৌঁছেছে। সেই সময়ের সেরা সব গীতিকার- লতিফুল ইসলাম শিবলি,বাপ্পি খান,দেহলভি, আনন্দ,তরুন, মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ, প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবুদের জেমস এর জন্য আলাদা ভাবে গান লিখতে হত। কেননা জেমসের গানট শুধুমাত্র সুর নির্ভর নয় তারচেয়ে বহুগুন বেশি কথা নির্ভর।


জেমসের কিছু গান যেগুলো না উল্লেখ করলেই নয়। প্রিন্স মাহমুদের সুর ও সঙ্গীতের মিক্সড অ্যালবাম এর 'বাংলাদেশ' (পিয়ানো), তাজমহল গড় (পিয়ানো), 'জানালা ভরা আকাশ' (শক্তি), 'আমি ও আঁধার' (শক্তি),'শেষ দেখা ' (শেষ দেখা), 'মা' (এখনও দু চোখে বন্যা), 'ফুল নিবে না অস্রু নিবে' (দেয়াল), 'মন আমার পাথরের দেয়াল তো নয়' (দেয়াল), 'কিছু ভুল ছিল তোমার" ( দাগ থেকে যায়)' নিষ্পাপ আমি' (স্রোত), স্যার (দীর্ঘশ্বাস) আত্মহত্যা পাপ (যন্ত্রনা), দহন এলবাম । জুয়েল বাবুর সুর ও সঙ্গীতে 'ওরে দেখে যারে তুই' (মেয়ে), 'পদ্ম পাতার জল' (ও আমার প্রেম), 'আরও কিছুক্ষণ রবে কি বন্ধু' (নিরবতা), সাদা কালো (নীরবতা), 'কিছুটা আশা তুমি রেখো” (নীরবতা), 'বর্ষা আমার চোখের প্রিয় ঋতু (সন্ধি), 'যত দূরে যাও বন্ধু আমার' (তারকা মেলা), লাকি আখন্দ এর সুর ও সঙ্গীতে 'লিখতে পারি না কোন গান' (বিতৃষ্ণা জীবনে আমার),'ভালবেসে চলে যেও না' (বিতৃষ্ণা জীবনে আমার), শফিক তুহিনের সুর ও কথায় শুন্য করে বুক, বৈশাখী ঝড়ে (সারেগামা) সহ আরও অনেক অনবদ্য অসাধারণ সব গান আজো সে যুগের এবং এ যুগের শ্রোতাদের মুখে মুখে ফিরে।

লতিফুল ইসলাম শিবলি,বাপ্পি খান, আসাদ দেহলভি, আনন্দ, তরুন, মারজুক রাসেল, গোলাম মোরশেদ লায়ন, প্রিন্স মাহমুদ ও জুয়েল-বাবু জেমস এর জন্য আলাদা ভাবে গান লিখতেন। যে গানের কথাগুলো ছিল একটার চেয়ে আরেকটা অসাধারণ সব কথায় ভরপুর যা একবার শুনে মন ভরতো না। আসাদ দেহলভীর সাথে সম্পর্কের টানাপড়েন পরে বিচ্ছেদ এই অভাব বুঝতে দেননি প্রিন্স মাহমুদ। আফসোসের ব্যাপার গোলাম মোরশেদ লায়ন এখন সঙ্গীত থেকেই দূরে।

'জেমস' বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশেরও একটি প্রিয় গায়ক রুপে পরিচিত হয়েছেন। ২০০৬ সালে ভারতের বিখ্যাত ও জনপ্রিয় প্রযোজক, পরিচালক মহেশ ভাট এর 'গ্যাংস্টার' ছবিতে 'ভিগি ভিগি' গান দিয়ে হয়েছেন ভারতের কোটি জনতার প্রিয় শিল্পী। এরপর একই প্রযোজকের 'ওহ লামহে' 'মেট্রো' ছবিতেও কণ্ঠ দিয়ে চমকে দিয়েছেন পুরো ভারতকে। সর্বশেষ ওয়ার্নিং সিনেমায় টাইটেল সং 'বেভাসি' ধারাবাহিকতা ঠিক রাখার সাথে নিজের জনপ্রিয়তাকেও উর্ধ্বমুখি করছেন।

হিন্দি ছবির প্লে-ব্যাকে ধারাবাহিক সাফল্যের পর এবার জেমস ফিরছেন হিন্দি অডিও এ্যালবামের মধ্য দিয়ে। এরই মধ্যে মুম্বাই স্টুডিওতে রেকর্ড করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের জনপ্রিয় গানগুলোর হিন্দি ভার্সন, যা অনেক দিন ধরেই করার কথা চলছিল। যে গানের তালিকায় থাকছে মা, মীরা বাই, তেরো নদী সাত সমুদ্দুর, দুখিনির দুঃখ, যেদিন বন্ধু, জেল থেকে বলছিসহ জনপ্রিয় ১০টি গান। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্টে সনি এন্টারটেইনমেন্ট থেকে এ এ্যালবামটি প্রকাশের পূর্ণ সম্ভাবনার কথা জানান আত্মকেন্দ্রিক মৃদুভাষী জেমস।

রেদওয়ান রনি

রেদওয়ান রনি
 বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক নির্মাতা।তিনি নাটক এবং ছায়াছবি নির্মান করেন। তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র চোরাবালি মুক্তি পায় ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর[২]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাস করার পর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।

ব্যাক্তিগত জীবন

রেদওয়ান রনি ২১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আয়েশা প্রেমা।

কর্মজীবন

রেদওয়ান রনি নিয়মিত ভাবে নির্মান করছেন নাটক, ছায়াছবি। এককভাবে তাঁর প্রথম কাজ টেলিফিল্ম ‘ উড়োজাহাজ’। এটি ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। ২০১১ সালে নির্মাণ শুরু করেন তাঁর প্রথম পরিচালিত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চোরাবালি। অপরাধ থ্রিলার ধারার এই চলচ্চিত্রটি ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর, দর্শক মহলে দারুন সাড়া ফেলে এটি। কিন্তু, কয়েকটি বিষয় ও দৃশ্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয়। এমনকি শেষ দৃশ্যে পুরনো দিনের চলচ্চিত্রের একঘেয়েমীর সমালোচনার ফলে তিনি সেই দৃশ্যটি বাদ দিয়ে নতুন দৃশ্য সংযোজন করে পুনরায় মুক্তি দেন।

উল্লেখযোগ্য নাটক

  • হাউসফুল
  • এফএনএফ
  • রেডিও চকলেট

উল্লেখযোগ্য ছায়াছবি

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আমির খানের অজানা নয়



আমির খানের অজানা নয়

 
আমির খান

আমির খান

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডে তার পরিচয় মি: পার্ফেক্টসনিস্ট নামে। গজনি, মঙ্গল পান্ডে, থ্রি ইডিয়টস, রাঙ্গ দে বাসন্তিসহ বিভিন্ন সুপারহিট সিনেমায় দর্শক তাকে দেখেছে বিভিন্ন রূপে। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে বলিউডে তিনি তার অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছেন। হ্যাঁ, বলছি বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা আমির খান সম্পর্কে। এ অভিনেতার অজানা কিছু তথ্য নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।


১. খেলোয়াড় আমির : আমির মূলত অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। কিন্তু অভিনয় ছাড়াও তার রয়েছে আরও একটি গুণ। ভালো ব্যাডমিন্টন খেলেন এ অভিনেতা। বাড়ন্ত বয়সে খেলাধুলার সঙ্গে বেশ যুক্ত ছিলেন আমির। মহারাষ্ট্র টেনিস চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি।



২. গোসল করতে চান না আমির : এ তারকার আরও একটি তথ্য যা জেনে অবাক হবেন সবাই। তথ্যটি হচ্ছে গোসল করতে মোটেও পছন্দ করেন না আমির। গোলাম সিনেমায় তার চরিত্রটির জন্য অনেকদিন গোসল না করে থাকত হয়েছিল। আর সে কারণে নাকি বেজায় খুশি হয়েছিলেন তিনি। তার সহধর্মীনি কিরণ রাও টিভি শো কফি উইথ করণ-এ এসে এ আজব তথ্যটি দেন। ছুটির দিনে বাড়ি থেকে বেড় হতে না হলে নাকি গোসল থেকে বিরত থাকেন অমির।


৩. অভাবের মধ্যে বড় হয়েছেন : ছোটবেলায় প্রচণ্ড অভাবের মধ্যে বড় হতে হয়েছে তারকাকে। কারণ তার বাবার সিনেমাগুলো তখন খুব একটা ব্যবসা করতে পারছিল না। কিন্তু আমিরের মাথায় চেপেছিল অভিনেতা হওয়ার ভূত। নির্বাক চলচ্চিত্র প্যারানয়িয়াতে নীনা গুপ্তার সঙ্গে অভিনয় করে সিনেমা জগতে পা রাখেন তিনি। তারপর তিনি যোগ দেন অবান্তর নামরে একটি থিয়েটার দলে। হাই স্কুলের পর আর পড়াশোনা হয়নি আমিরের। পড়াশোনা বাদ হওয়ার পর চাচা নাসির হোসাইনের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবন পার করে প্রমাণ করেছেন অভিনেতা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেদিন ভুল করেননি তিনি। 



৪. মাদাম তুসোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন : বিশ্বের বড় বড় তারকা থেকে শুরু করে বলিউডের অনেক তারকার মোমের মূর্তি স্থান পেয়েছে মাদাম তুসো জাদুঘরে। কিন্তু আমির তার মোমের মূর্তি বানানোর প্রস্তাবকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। এ অভিনেতা বলেছিলেন, ‘এটি আমার কাছে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। দর্শকরা আমাকে সিনেমাতেই দেখবে। আর আমি একসঙ্গে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে থাকতে চাই না। আমি কয়েকটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি এতটুকুই যথেষ্ট।


৫. পছন্দের তারকা গোবিন্দ : বলিউডের প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে রয়েছেন আমির খান। কিন্তু এ তারকার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন কোন তারকারা আপনি কি জানেন? বলিউডে তার পছন্দের অভিনয় শিল্পী হলেন গোবিন্দ। এ অভিনেতার স্যান্ডউইচ সিনেমাটি বেশ কয়েকবার দেখেছেন আমির। অভিনেত্রীদের মধ্যে পছন্দের তালিকায় রয়েছেন ওয়াহিদা রহমান এবং গীতা বালি। অন্যদিকে হলিউডে তার পছন্দ লিওনার্দ্যো ডিক্যাপ্রিও এবং ডেনিয়েল ডি লুইসকে।



৬. মোঘলাই খাবার খুব পছন্দের : খাবার ব্যাপারে খুব একটা বাছবিচার নেই এ বলিউড অভিনেতার। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় খাবার মোঘলাই খাবার তার খুব পছন্দের। বিরিয়ারি বাদশাহী,শাহী রোগান জোশ তার অন্যতম পছন্দের খাবার। এছাড়া মসলাযুক্ত সাদা ডিমের অমলেট এবং দম তার অনেক পছন্দ। খাবারের বিষয়টি যতই পছন্দ হোক না কেন নিজের শরীরের প্রতি অনেক সচেতন এ অভিনেতা।


৭. বিখ্যাত পরিবারে জন্ম আমিরের : পূর্বপুরুষ আবুল কালাম আজাদের মতো আমিরও পদ্মশ্রী এবং পদ্মভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। এ অভিনেতার পূর্বপুরুষ সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদকে স্মরণ করে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর ভারতের জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হয়। তার নাম অনুসারে নিজের ছেলের নাম আজাদ রাও রেখেছেন আমির।


৮. খুঁতখুঁতে আমির : প্রথম সিনেমা কেয়ামাত সে কেয়ামাত-এ তাক দিয়েই ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আমির। কিন্তু তার পরবর্তী সিনেমা ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য সময় লেগেছিল দুই বছর। সেকারণে সিনেমা নির্বাচনে বেশ সচেতন হয়েছিলেন তিনি। শাহরুখ অভিনীত ডার ও স্বদেশ এবং সালমান খানের হাম আপকে হ্যায় কোন এর মতো ব্যবসা সফল সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল আমিরের। কিন্তু তিনি সেগুলোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।


৯. মজারু আমির : সহ শিল্পীদের সঙ্গে মজা করার ব্যাপারটি আমিরের নতুন নয়। ইস্ক সিনেমায় অভিনয়ের সময় তার মজার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে সিনেমার সেট থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী জুহি চাওলা।

অবশ্য পরের দিন ফিরে এসেছিলেন। যখন সেটে আসলেন দেখলেন গেটে দুটি টেডি বেয়ার এবং দুঃখিত লেখা। কিন্তু পরবর্তীতে জুহি জানতে পারেন সেগুলোও প্রোডাকশনের ছিল। তারপর বেশ কিছুদিন আমিরের সঙ্গে কথা বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। ছয় বছর পর আবার একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তারা।